#টোপ

#গল্প

#টোপ

#তারাপদ_মাঝি





আমি শর্মিলা। একজন সরকারী নার্স। কাকদ্বীপে বাড়ি।আমার ছোট্ট পরিবার। আমি আমার মেয়ে সতী আর স্বামী গৌতম। আমার

সম্পর্কে বাকীটা গল্প পড়েই জানুন। এখন অন্য কথা বলি।

 

সতীটা বেশ বড় হয়ে গেল। এই তো এই জুলাই টপকালেই মেয়েটা সতের বছর হয়ে যাবে। একেবারে মাথা মোটা মেয়ে। তার বাবার

মতো পড়াশুনায় ভালো।  কিন্তু একেবারে বাস্তব বুদ্ধিহীন। এখন ও কলেজে পড়ছে।অথচ একটিও  বয়ফ্রেন্ড জোগাড় করতে পারলো

না! এই সব গুনের জন্যই তো আমি মেয়ের নাম রেখেছি সতী।


আমার যখন ওই রকম বয়স ছিল, আমি তিন চারটে ছেলেকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছি। নার্সিং পড়ার বাপের একটিও পয়সা খরচ

করতে দেই নি। সব খরচই বয়ফেন্ডের গ্যাঁট থেকে খসিয়েছি। আর সতীর পড়াশুনার জন্য আমার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ঠিক রাখতে পারছি

না। সতীর জন্য আমাদের যদি ছেলে ঠিক করে বিয়ে দিতে হয় তাহলে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের বারোটা বাজবে। ওর জন্য কিছু একটা

করতে হবে। আর পারা যাচ্ছে না।



সোমনাথ ছেলেটি বেশ ভালো। যেমনি লম্বা তেমনি ফর্সা। একেবারে টিকলো নাক। ঋজু শরীরে একফোঁটা মেদও নেই। ছেলেটি ব্যাঙ্কে

চাকরী করে। ভালো টাকার বেতন। কিন্তু মালটা বিছানায় কেমন সঙ্গ দেবে সেটাই শুধু দেখার। স্বভাব তো দেখে মনে হয়

গৌতমের মতোই হবে। গৌতম অন্য নারীর প্রতি আসক্ত নয়, কারুর প্রতি জেলাসিও নয়। একেবারে ভদ্র স্কুল মাষ্টার। কিন্তু

বিছানায় একেবারে কালান্তক যম। তবে বিছানায় আসার ফ্রিকোয়েন্সি বড্ড কম। মাসে এক থেকে দু’বার। তবে এই দু এক বারে 

শরীরকে যেভাবে নিগড়ে নেয়, তাতে সারা মাসে আর শরীরের খিদে আসে না। এই গুনের জন্য আমি গৌতমকে বিয়ে করেছি।

বাকিগুলোকে টেষ্ট করে ছেড়ে দিয়েছি। কি ভাবছেন আপনারা আমাকে? আমি বেশ্যা এই তো? তা ভাবুন। আমার কোন আপত্তি

নাই। কিন্তু যে মানুষটার সঙ্গে সারাজীবন কাটাবো, সেই মানুষটা আমায় বিছানায় সুখ দিতে পারবে কিনা দেখে নেওয়া উচিত নয়

কি? আমি মশাই পেটের খিদে সহ্য করতে পারি, কিন্তু শরীরের খিদে একেবারেই নয়।


সতীত্ব! ও মশাই আমি মানি না। বেশ্যা পল্লীতে যে পুরুষরা যায়, তাদের চরিত্র নিয়ে তো কোন কথা উঠে না। শুধু মেয়েদের বেলা

দোষ! শুনুন সাবিত্রী এবং সত্যবানরা, “সতীত্ব” বলে কিছু হয় না। আর “সম্পর্ক” আপন পর চেনানোর জন্য মানুষের তৈরী করা

নিয়ম। আপন সম্পর্কের মধ্যে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত নয়, এটা আদিকালের সমাজপতিদের তৈরী করা নিয়ম। কিন্তু

যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে যে এর পরিবর্তন করা জরুরী, সেটি একালের সমাজপতিরা মানছেন না। আমি তো মশাই আমার নিজের

ভাইয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেছি। তাতে আমার কি পাপ হয়েছে, আমার কি ক্ষতি হয়েছে আমি তো বুঝতে পারি না। আমি তো

মনে করি, এতেই আমাদের ভাই বোনের সম্পর্ক  আরও পবিত্র হয়েছে। দিন, যত গালাগাল দেবেন দিন, আমার কাঁচকলা হবে।

এখন দেখি, সোমনাথকে আমার মেয়ের জন্য বাগাতে পারি কি না। 



সোমনাথের সঙ্গে মোটামুটি আলাপ জমিয়ে ফেলেছি। আলাপের মাধ্যমে ওর দুর্বলতাগুলো খুঁজে পেয়েছি। এবার সেই দুর্বল

জায়গাগুলো দিয়ে ওকে ভেদ করতে হবে। ওর এখন প্রধান সমস্যা থাকার অর্থাৎ উপযুক্ত থাকার বাড়ি খুঁজে পাচ্ছে না। এই চান্সটা

আমায় নিতে হবে। ও কাকদ্বীপ এস বি আই তে কাজ করে। আমার বাড়ি কাকদ্বীপে। আমার বাড়ি থেকে ওর অফিসের দূরত্ব মাত্র

পনের মিনিটের পথ। সুতরাং ওকে কোনোভাবেই আমার বাড়িতে আনলেই কেল্লা ফতে। ব্যাঙ্কে গিয়েই সোমনাথের সঙ্গে আলাপ ও

পরিচিতির বিস্তৃতি লাভ করেছিল। তাই একদিন বাজারে সোমনাথের সঙ্গে দেখা হতেই সোমনাথ লজ্জায় পড়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে

প্রত্যুতপন্নমতিত্বের সঙ্গে বললাম- লজ্জা পাবার কিছু নেই সোমনাথবাবু(“বাবু” বলতে আমার কষ্ট হচ্ছিল গো)। নিজের কাজ নিজে

করাই ভালো।

-না, আমার রান্নার মেয়েটা আজ আসে নি। সেই বাজার করে রান্না বান্না করে। কিন্তু…

-কিন্তু আজ সে আসে নি তাই তো? 

- ঠিক তাই।

- তাহলে বাজার করছেন রান্না করবে কে?

-নিজেকেই কিছু একটা করতে হবে। সোমনাথ লাজুকভাবে উত্তর দিলো।

-আপনি থাকেন কোথায়?

-এই তো রথ তলার কাছে।

-বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন তো?

-হ্যা।

-কার বাড়ি বলুন তো?

-প্রফেসর সোমনাথ আচার্যের বাড়ি।

-উনার বাড়ি থেকে সোজা স্টেশনে যাবার রাস্তা আছে  জানেন?

-হ্যা, জানি তো?

-তাহলে আর বাজার করে লাভ নেই। আপনি অফিস ড্রেস পরে সোজা আমার বাড়িতে যাবেন। আমার বাড়িতে লাঞ্চ সেরে আশাকরি

অফিসে আসতে অসুবিধা হবে না। আপনি কিন্তু না করতে পারবেন না।

আমি এমন জোর দিয়ে বলেছিলাম যে সোমনাথ না করতে পারে নি। বাধ্য ছেলের মতো থলে হাতে আমার সঙ্গে চলতে লাগলো।

আমি ইচ্ছে করে সোমনাথের বাসা হয়ে ঘুরে বাড়ি পৌছলাম। বেচারা এক দিনের জন্য হোটেলে খেয়ে নিতে পারতো? কিন্তু নিজে

কষ্ট করে রান্না করতে যাবে কেন? তাহলে কি পেটপাতলা মানুষ! হোটেলের খাবার কি পেটে সহ্য হয় না! নাকি কঞ্জুষ চরিত্রের

মানুষ!



সোমনাথকে এখন আমার বাড়িতে এনে তুলেছি। ওকে আদর যত্নে ভুলিয়ে রেখেছি। মেয়েকে লেলিয়ে দিয়েছি।  কিন্তু মেয়েটা আমার

বড্ড বোকা বা ভিতুর ডিম। ছেলেটাও তাই। কেউ একজনও এগোচ্ছে না! আমি আড়াল থেকে ওদের কথাবার্তা শুনি আর ওদের

কথা বার্তা শুনে হতাশ হই। আর কত দিন অপেক্ষা করা যায়। তারপর শুনতে পাচ্ছি ছেলের বাড়ি থেকে বিয়ের তোড় জোড় চলছে।

ওদের আগে থেকেই নাকি মেয়ে ঠিক করা আছে! আমার ছিপ থেকে মাছ পালিয়ে যাবে! 

আমার মেয়েও এখন আঠার বছর হয় নি। এক বছর বাকি। কিছু একটা টোপ দিয়ে ওকে ছিপে গাঁথতে হবে। তারপর যেমন খুশি

ওকে নিয়ে খেলবো। সেদিন পেয়েও গেলাম একটি সুযোগ। ও সেদিন ছুটি নিয়েছে বাড়ি যাবে। হঠাৎ ওয়েদার খারাপ হয়ে গেল

ভীষণভাবে। ওর আর বাড়ি যাওয়া হলো না। ও গৃহ বন্দি হতেই আমি ছুটি নিয়ে নিলাম। এখন বাড়িতে আমরা দুজন। আমি আর

সোমনাথ। গৌতম গেছে স্কুলে। এখন পরীক্ষা চলছে। ফলে গৌতমকে স্কুলে যেতেই হলো। আর মেয়ে তো আগেই কলেজে বেরিয়ে

গেছে।

জুলাই মাসের শেষের দিকে। আকাশ কালো করে মেঘ করেছে। আমি এবার নিজ রুপ ধারণ করলাম। সোমনাথকে ডেকে বললাম -

ভাই ওপারের রাস্তা থেকে একটা ওষুধ এনে দিতে পারবে?

-কেন পারবো না? নিশ্চয় পারবো। কি ওষুধ কিনতে হবে দিন?

-তেমন কিছু না। ঐ খান পাঁচেক ওমেজ ডি আর খান তিনেক সারিডন ট্যাবলেট।

-খুব মাথা যন্ত্রনা করছে বুঝি?

-হ্যা। গ্যাসে হচ্ছে না অন্য কিছুতে কে জানে?

-সোমনাথ ফিরে আসতেই দেখি ও প্রায় আধভেজা হয়ে গেছে। মুসলধারে বৃষ্টি হচ্ছে যে! আমি এই সুযোগটি নিলাম। তাই সোমনাথ

আমার ঘরে ওষুধ দিতে আসতেই বললাম- ইস, একদম ভিজে গেছ দেখছি। বলে আমার আঁচলখানা দিয়ে ওর মাথা মুছে দিতে

থাকলাম আর ইচ্ছে করে আমার পুরুষ্টু স্তনযুগল ওর বুকে হাল্কা হাল্কা ছোঁয়াতে লাগলাম। সে যতই না না বলে দূরে সরে যাওয়ার

চেষ্টা করে আমি ততই তার কাছে সরে গিয়ে আমার কুচযুগল চেপে ধরি। ও আমাকে দিদি বলে ডাকলেও আমার প্রতি ওর একটা

আকর্ষণ আমি তৈরী করে ফেলেছিলাম ইতিমধ্যেই। ফলে দুজনের ধস্তাধস্তিতে দেখলাম ওর নিস্বাস প্রস্বাস বেড়ে গেছে। এই রকম

অবস্থা থেকে একটি মেয়ে বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে, কিন্তু পৃথিবীর কোন পুরুষেরই এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা

নাই। আর এই পরিস্থিতি যদি হয় প্রথমবার, তাহলে তো কোন কথাই নেই। সোমনাথের বেলায়ও তাই হলো। সোমনাথ উত্তেজনায়

আমাকে জড়িয়ে ধরলো।প্রথমে ষ্পর্শ পেলাম ওর উষ্ণ চুম্বনের। তারপর আমার শরীরে তার হস্তযুগল ফণীর মতো ঘোরা ফেরা করতে

লাগল। আস্তে আস্তে আমার কিশলয় থেকে যখন টপ্ টপ্ করে রসের উৎস্রোত পড়তে লাগলো, ঠিক তখনই সোমনাথ শুরু করলো

ভুমি কর্ষণ। আহা কি সুখ! আমি সুখের বন্যায় ভাসতে লাগলাম। এক সময় সোমনাথ লাঙ্গল থামালো। আমরা ঘর্ম স্নানে স্নাত।

অবশেষে আদিম মানব মানবীর মতো বিছানায় শায়িত রইলাম।



সোমনাথ এখন আমার বন্ধনে। আমার ইন্ধনে কাকদ্বীপে জমি কিনিয়েছি এবং সুন্দর একখানা বাড়ি বানাতে বাধ্য করেছি।ও এখন

প্রায়ই বলে যে ও আমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না। সত্যি বলতে কি আমিও সোমনাথকে ভালোবেসে ফেলেছি। কিন্তু এই চল্লিশ

বসন্তের যৌবন দিয়ে কোন সাতাশ বসন্তের কুসুমকে বঞ্চিত করতে চাই না। তাই সোমনাথকে অনেক করে বুঝিয়ে ওর সঙ্গে আমার

মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা পাকা করেছি। বলেছি এতে সোমনাথের লাভই হবে। কারণ ও আমার মেয়ের মধু তো পান করবেই, বাসনা

হলে আমার ফুলের মধু খেয়ে যেতেও ওর কোন অসুবিধা নাই। 


আমি বিশ্বাস করি পুন্য বলে কিছু নেই। পাপ বলে কিছু হয় না। ভালো কাজ বা খারাপ কাজের বিশ্বাস আছে। সোমনাথকে টোপ দিয়ে

ধরেছি ঠিকই, কিন্তু তার পিতা মাতা, ভ্রাতা, ভগিনী প্রভৃতির প্রতি খারাপ ব্যবহার করতে দেই নি। ওদের সোমনাথ যতটা না

অর্থিকভাবে সাহায্য করেছে, আমি করেছি আরও বেশী। আর মানবিক দিক থেকে আমি সাহায্যের লেশমাত্র ত্রুটি রাখি নি। হাজার

হোক সোমনাথ আমার দ্বিতীয় স্বামী, হোক না সে আমার মেয়ের স্বামী। হি…...হি…..হি…….।


কপিরাইট@তারাপদ মাঝি

২৫শে ডিসেম্বর, ২০২০

দেবনগর


কোন মন্তব্য নেই

গল্প বা কবিতা কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না

Blogger দ্বারা পরিচালিত.