মহান যিশু

মহান যিশু
আজ থেকে এক সহস্র নয়শত সত্তর বছর আগে
কিছু স্বার্থান্বেষী ভন্ডজ্ঞানী মিলে
এক মানুষের বিচার করেছিল হেরোদ দরবারে।
লোকটির অপরাধ কি ছিল তবে?
অপরাধ ছিল তার বোড্ড ভয়ঙ্কর,
মানুষকে জ্ঞানের আলো দেওয়াই তার অপরাধ,
বাঁচতে শেখানো আর মুক্তির পথ দেখানো অপরাধ।
সারা পৃথিবীতে ছড়িয়েছিল তাঁর জ্ঞান,
মানুষের অন্ধ বিশ্বাস আর কুসংস্কারের রাজ্য পেরিয়ে
পৌছে গিয়েছিল আলোর রাজ্যে আনন্দের মাঝে।
ভন্ডজ্ঞানীদের কাছে তা ছিল হৃদয় বিদারক।
প্রকৌশল রচনা করে রাজদ্রোহী সমাজদ্রোহী বলে
রাজা হেরোদের কাছে বিচার প্রত্যাশা করে।
রক্তপিপাষু ইহুদীদের ভয়ে স্তম্ভিত ঈস্বরপুত্র।
হায়! প্রিয় শিষ্য ঈষ্করিয়োতীয় যিহুদা,i
মাত্র তিরিশ রৌপ্য মুদ্রা লয়ে ত্যজিলে গুরু!
বন্দী যিশুকে আনা হলো হেরোদের প্রাসাদে।
জন অরণ্যের সম্মুখে বিচার হলো শুরু।
বিচারক সম্রাট প্রতিনিধি পন্টিয়াস পাইলেট।
পাইলেট বাঁচাতে চাইলেও,
ভন্ডজ্ঞানীরা রক্তপিপাসায় উন্মত্ত হয়ে
ভগবানকে হত্যা করতে প্ররোচিত করে।
এলো সেই ঐতিহাসিক ক্ষণ!
প্রকাশ্য দরবারে পাইলেট ঘোষণা করে-
“যিশুকে জীবন্ত ক্রুশবিদ্ধ করা হোক”।
চারিদিকে ক্রন্দনরোল ধ্বনিত হলেও
কেউ আদেশের বিরুদ্ধাচারণ করে নি।
ভন্ডজ্ঞানীদের পেশীশক্তি আর রক্তলোচন
সমাজকে এতখানি পঙ্গু করেছিল!
আজ এত বছর পরেও
ভন্ডজ্ঞানীদের পেশীশক্তি রক্তলোচনে
এখনও সমাজ পঙ্গু হয়ে আছে।
মানুষ কি কখনো মুক্তি পাবে এর থেকে?
যিশুর জন্মদিনে তাঁকে প্রনাম জানিয়ে বলি-
পৃথিবীতে জ্ঞস্নের আলো প্রজ্জ্বলিত হোক,
দস্যু মুক্ত হোক পৃথিবী।
Copyright @Tarapada
Debnagar-25/12/2017

কোন মন্তব্য নেই

গল্প বা কবিতা কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না

Blogger দ্বারা পরিচালিত.