#সুন্দরবনের_জঙ্গলে


সুন্দর গল্প ও কবিতা

("রমাপদবাবুর_ট্রান্সফারের" এর পরের অংশঃ-)
#গল্প
#সুন্দরবনের_জঙ্গলে
#তারাপদ_মাঝি
প্রধান সাহেব সবে গল্পটা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন সময় লোথিয়ান দ্বীপের ফরেষ্ট অফিসার পঞ্চায়েতে এলেন। ফলে সেদিনের দুর্ঘটনার রহস্য জানার ছেদ পড়লো। সবাই অফিসারকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। দেউড়ি দ্বীপের চারিদিকে সাগর থাকায় দ্বীপটিতে ভূমিক্ষয়ের ফলে দ্বীপটি প্রচুর ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। ইদানিং ক্ষয় কার্য অনেক বেড়েও গেছে। ফলে ফরেষ্ট অফিস সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে দ্বীপের চারিদিকে প্রচুর ম্যানগ্রোভ বনভূমি সৃজন করা হবে। তার জন্য প্রধান সাহেবের সাহায্য চাইছেন ফরেষ্ট অফিসার। প্রধান সাহেব চেষ্টা করবেন যাতে স্থানীয় মানুষ যেন বনভূমি নষ্ট না করেন। অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে অনেক দেরি হয়ে যায়। ফলে রমাপদবাবুর আর স্বপ্নের নারীর রহস্যভেদ করা সম্ভব হল না। তবে প্রধান সাহেব কথা দিলেন যে একদিন তিনি ঠিক গল্পটি তাকে শুনিয়ে দেবেন।
রমাপদবাবু দেউড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ মানিয়ে নিয়েছেন। প্রথম দিন চাকুরিতে জয়েন করার দিনের মতো আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নি। এখন রমাপদবাবু বেশ স্বাছন্দ। কোন অসুবিধা নেই। বরং তিনি বারুইপুর অপেক্ষা অনেক ভালো ভাবেই দেউড়িতে চাকুরি করছেন। প্রতি সপ্তাহের শুক্রবারে বাড়ি যান আর সোম বার অফিসে এসে যোগ দেন। তাছাড়া মাসে বেশ কয়েকদিন এমন হয় যে ব্লকে কাজ থাকলে রামগঙ্গায় চলে যেতে হয় এবং যেতে হয় সকাল ১০ টার মধ্যে। তা না হলে খেয়া নৌকা পাওয়া যাবে না। আবার ব্লকে গিয়ে ফিরেও আসা যাবে না পঞ্চায়েতে। ব্লক অফিসে পঞ্চায়েত গুলির জন্য থাকার ব্যবস্থা থাকে। অগত্যা সেখানে রাত কাটাতে হয়। মাঝে মাঝে এমন হয় যে রাতে পঞ্চায়েতে না থেকে একেবারে বাড়ি চলে যান। এতে অনেকটা সুবিধা পান রমাপদবাবু।যাইহোক বেশ ভালোই আছেন বলতে হয়।
রমাপদবাবু অফিসে বেশ ভালোভাবেই সময় কাটে। সারাদিন অফিসের কাজে সময় চলে যায়। গ্রামের মানুষ গুলো কি অসাধারণ সরল।তাদের সঙ্গে গল্প করে, কখনো স্টাফেরা নিজেদের মধ্যে আড্ডা মেরে বা তাস পিটিয়ে দিব্যি চলে যায়। রাতে ভরপেট খেয়ে নাক ডাকিয়ে ঘুম দেওয়া। খাওয়ারও কোন অভাব নেই। দিব্যি দিশি মুরগী, পুকুরের পারসে, গলদা,ডোমরা, চাকলে, ট্যাংরা আর কাঁকড়ার অভাব নেই। মন খুশি খাওয়া হচ্ছে প্রতিদিন। এক এক দিন মাছ বাদ দিয়ে শুধু ডাল সবজি খেয়ে রুচি পালটাতে হয়।
কিন্তু একটা জিনিষ রমাপদবাবু দেখেছেন যে যা খাওয়া হোক না কেন হজমের কোন গন্ডগোল হয় না। রমাপদবাবু দেখেছেন যে বাড়িতে এই রকম হিজিবিজি মাছ মাংস বা কাঁকড়া খেলে দিব্যি তার পেটের গন্ডগোল হয়। কিন্তু এখানে অর্থাৎ দেউড়িতে তা হয় না। মনে হয় গ্রামের অক্সিজেন সমৃদ্ধ মুক্ত হাওয়া আর নির্ভেজাল খাদ্য পরিপাকের পক্ষে বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠেছে।
ঐ বছর মে মাসে খুব গরম পড়েছে। কিন্তু রমাপদবাবু যেদিন বাড়ি আসেন সেদিনই গরমটা বেশী অনুভব করেন। অথচ দেউড়িতে থাকলে তিনি তেমন একটা গরম অনুভব করেন না। মনে হয় চারিদিক বঙ্গোপসাগর দিয়ে ঘেরা বলে গরম কম। তো সেই গরমের দিনে প্রধান সাহেব বললেন- সেক্রেটারীবাবু একবার পিকনিকে গেলে কেমন হয়?
-কোথায় যাবেন? রমাপদবাবু জিজ্ঞাসা করলেন।
- কেন, আমাদের লোথিয়ান দ্বীপে! এর থেকে ভালো জায়গা আর হতে পারে না।
- এই কয়েকমাসে রমাপদবাবু লোথিয়ান দ্বীপের অবস্থান জেনে গেছেন এবং সেটা যে সুন্দরবনের একটি বিশেষ সুরক্ষিত বনাঞ্চল তা তিনি জানেন। তাই তিনি প্রশ্ন করলেন- বনে ঢুকতে দেবে কি?
-সে দায়িত্ব আমার। আপনারা শুধু যাবেন কিনা বলুন। প্রধান সাহেব বললেন।
-রমাপদবাবু এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইলেন না। আজ পর্যন্ত তিনি কোন দিন জঙ্গলে রাত কাটান নি।তাই এই সুযোগ নেওয়ার জন্য তিনি অন্যান্য স্টাফদের কনভেন্সড করিয়ে রাজি করালেন। ঠিক হলো আসছে শুক্রবার পিকনিকে যাওয়া হবে।শুক্রবার সকাল আটটায় বের হবেন সবাই। একখানা বড় ট্রলার ভাড়া করা হয়েছে।ঠিক হল যে শুক্রবার আর শনিবার লোথিয়ানে থাকা হবে।রবিবার ঐ ট্রলার নিয়ে যাওয়া হবে বকখালি এবং হেনরি আইল্যান্ডে। ওখানে একটু চক্কর দিয়ে রবিবার বিকালে আবার দেউড়িতে ফিরে আসা হবে।
শুক্রবার যথারীতি রমাপদবাবুরা পিকনিকে বের হলেন। দেউড়ি থেকে ট্রলারে মাত্র আধা ঘন্টার পথ। ট্রলারটিকে একটি নদীতে ঢুকিয়ে কিছুদূর এগিয়ে যেতেই ফরেষ্ট অফিসের নাগাল পেল। তারপর সুশান্তবাবু নৌকা থেকে নামতে একজন অফিসার এগিয়ে এসে প্রধান সাহেবকে নমস্কার করলেন। প্রধান সাহেবও প্রতি নমস্কার করলেন।তারপর প্রধান সাহেব নৌকার সবাইকে ডাকলেন। রমাপদবাবুর অফিসের স্টাফ জনা পাঁচেক আর অন্যান্য জনা সাতেক মিলিয়ে প্রায় জনা বারো মানুষ মিলে তাদের পিকনিকের দল তৈরী হয়েছিল। সবাই প্রধানের ডাকে নৌকা থেকে উঠলেন এবং অফিসে গেলেন।
এবার সেই অফিসার প্রধানকে একটি ঘর দেখিয়ে দিলেন। ঘরটি প্রায় পঁচিশ ফুট বাই কুড়ি ফুট হবে। সঙ্গে একটি টয়লেট রুম আর একটি বার ফুট বাই দশ ফুটের রান্না ঘর। বাড়িগুলি সুন্দরবনের গরাণ, হেঁতাল, ভারা ইত্যাদি কাঠ দিয়ে তৈরী। কংক্রীটের পিলার পুঁতে প্রায় পাঁচ ফুট উচু করে মাচান তৈরী করা হয়েছে। মাচানে হেঁতাল আর গরাণ কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যাসবেস্টাস হল ঘরের চাউনি। গোল বানী, টরা, গরাণ ইত্যাদি কাঠের দেয়াল করে বাইরে থেকে ভালো করে টিন মেরে দেওয়া হয়েছে। ঝড়ে যাতে পড়ে না যায় তার জন্য কংক্রিটের খুঁটি পুঁতে তার দিয়ে ঘরে টান দেওয়া আছে। বেশ মজবুতি ঘর। তবে প্রত্যেকটি ঘরে কাঠের মাচানের উপর বেশ সুন্দর করে অ্যালুমিনিয়ামের শিট পেতে দেওয়া আছে। কোন খাট বিছানা নেই। থাকলেও তা বোধ হয় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মনে হয় রমাপদবাবুদের একসঙ্গে মেঝে জায়গা দেওয়ার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এবার সেই অফিসার রমাপদবাবুদের কাছে এসে বললেন- আমাদের এখানে থাকতে হলে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। কারণ আপনারা সরকারি অফিসে আছেন সেটা মনে রাখবেন। কোন কিছু বিপদ হলে আমাদের বিপদ হবে। শুধুমাত্র প্রধান সাহেবের সঙ্গে একটা আলাদা সম্পর্ক আছে বলে আমরা আপনাদের এখানে থাকতে দিলাম। নিয়মগুলো আমি প্রধান সাহেবকে বলে দিয়েছি। তবু আপনাদের আবার বলছি। আপনারা মন দিয়ে শুনুন। আপনারা সন্ধ্যার পর কিছুতেই ঘরের বাইরে বের হবেন না। এই লোথিয়ান জঙ্গলে বাঘ নেই ঠিকই। কিন্তু যে ভয়ংকর সব শেয়াল আর বিশাল বিশাল ময়াল সাপ আছে তাতে আপনাদের প্রান হানি হতে বেশী দেরি লাগবে না। রাতে শোবার সময় খুব ভালো করে মশারী মাড়িয়ে শোবেন। মশারীতে যেন ছেঁড়া ফুটো না থাকে। এই জঙ্গলে শাখামুঠিয়া বলে একরকম সাপ দেখা যায় যার সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য আঠার ইঞ্চি। কিন্তু এই সাপটির বিষ অত্যন্ত তীব্র। এর সব চেয়ে প্রিয় পানীয় হল মানুষের শরীরের ঘাম। মানুষের ঘামের গন্ধে এরা পাগল হয়ে ঘাম খেতে ছুটে আসে। তখন যদি আপনাকে কামড় দেয়, তাহলে দেওয়ালে ছবি হয়ে ঝুলতে বেশী সময় লাগবে না। এই জঙ্গলের মশার কামড়ও সাংঘাতিক। কিন্তু সবচেয়ে বিপদ জনক হল এখানে এঁটুলির মতো এক প্রকার প্রানী থাকে। এরা আপনাদের কানে বা কোন গুপ্ত স্থানে যদি আশ্রয় নেয়, তাহলে অনেক কষ্ট পেতে হবে। সেই জন্য আপনাদের কাছে যদি বডি স্প্রে থাকে তাহলে সেটি ভালো করে ব্যবহার করুন। কিছু না হোক, অন্তত সাপের থেকে অনেকটা সুরক্ষা পাবেন। আর বডি স্প্রে না থাকলে আমাদের কাছ থেকে নেবেন। রাতে শোবার আগে বডি স্প্রে মেখে শোবেন। তাহলে এঁটুলি এবং শাখামুটিয়া সাপ দুজনের হাত থেকে রক্ষা পাবেন। এমন সময় রমাপদবাবু জিজ্ঞাসা করলেন - স্যার আপনার নামটা একটু বলবেন?
-আমার নাম মৃগাঙ্ক চ্যাটার্জী। কেন বলুন তো?
-আপনি বেশ এই জঙ্গলের সমুহ হাল হকিকত জেনে নিয়েছেন দেখছি। অনেক ধন্যবাদ এই জঙ্গল সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য।
মৃগাঙ্কবাবু বেশ গর্ব অনুভব করলেন এবং তার পর বললেন আপনাদের জন্য ভেটকি মাছ আর কাঁকড়্রা রেখেছি। তাই দিয়ে দুপুরের আহার সারুন। খাওয়া দাওয়ার পর বিকালের দিকে দু একটা পয়েন্টে বসে দেখতে হবে বুনো মুরগী পাওয়া যায় কিনা। বা বুনো শুয়োর পাওয়া গেলেও বেশ রাতের খাওয়া জমবে। এই বলে চ্যাটার্জী সাহেব অন্য তিনজন সহকর্মীকে নিয়ে আমাদের ট্রলার নিয়ে টহল দিতে গেলেন।
মৃগাঙ্কবাবু বেরিয়ে যাওয়ার পর প্রধান সাহেব বললেন- আজ কার যে সর্বনাশ হবে কে জানে।
-কেন প্রধান সাহেব? রমাপদবাবু জিজ্ঞাসা করলেন।
-আপনার বি ডি ও সাহেব যে লঞ্চ নিয়ে আমাদের পঞ্চায়েতে আসেন, তা না নিয়ে যদি অন্য কোন সাধারণ নৌকা নিয়ে আসেন তাহলে আপনি কি বুঝতে পারবেন যে ঐ নৌকায় বি ডি ও সাহেব আছেন। তখনই রমাপদবাবু চ্যাটার্জীবাবুর চালাকি বুঝতে পারলেন। যাক, রান্নার তোড় জোড় শুরু হলো। সবাই মিলে হাত লাগাল রান্নায়। প্রধান সাহেব ফরেষ্ট অফিসের লোক জনদের আর আলাদা করে রান্না করতে দেন নি। এক সঙ্গে রান্না হল। ঘন্টা দু’য়েক পর চ্যাটার্জীবাবু টহল দিয়ে ফিরলেন। চ্যাটার্জীবাবুকে সঙ্গে নিয়ে সবাই বিভিন্ন রকম টহলদারির গল্প শুনতে শুনতে খাওয়া শেষ করল। এবার খানিক ক্ষন জিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে শিকারে।
বেলা তিনটার দিকে চ্যাটার্জীবাবু এবং আরও দুজন ফরেষ্ট অফিসের স্টাফ নিয়ে শিকারে বের হলেন। রমাপদবাবু আর প্রধানকেও সঙ্গে নিলেন। রমাপদবাবু ভাবতেই পারেন নি যে তিনি সুন্দরবনের শিকারীর সঙ্গী হবেন। জঙ্গলে নাই বা বাঘ মামা থাকলেন। কিন্তু জঙ্গল তো? এই সৌভাগ্য ক’জনের ভাগ্যে জোটে শুনি!
চ্যাটার্জীবাবু একটি মাচানে গিয়ে উঠলেন। রমাপদবাবু, প্রধান সহ বাকী চারজন চ্যাটার্জীবাবুর পিছনে বসলেন। চ্যাটার্জীবাবু আগেই বলে রেখেছিলেন যে মাচানে উঠলে যেন কেউ কথা বা বিশেষ নড়া চড়া করে শব্দ উৎপাদন না করেন। সেই মতো সবাই চুপচাপ নিশ্চল হয়ে বসে আছেন। রমাপদবাবু দেখলেন যে গাছ গাছালির আড়ালে থাকা মাচান থেকে প্রায় ফুট তিরিশেক দূরে একটি জলাশয় স্পষ্ট দেখা যায়। অর্থাৎ জলাশয়ে কোন সুখাদ্য বিশিষ্ট প্রানী জল খেতে এলে তার নির্ঘাত প্রান যাবে।
এবার শুরু হল অপেক্ষা। চ্যাটার্জীবাবু বন্ধুক তাক করে বসে রইলেন। মিনিট দশেক অপেক্ষা করার পর দেখা গেল একটি শিয়াল এলো জল খেতে। শিয়াল দেখে রমাপদবাবুর প্রান একেবারে খাঁচা ছাড়া হবার জোগাড়। প্রায় ফুট সাতেক লম্বা হৃষ্ট পুষ্ট শিয়ালটিকে যে কারো কাছে মনে হবে কালান্তক যম। শিয়ালটি চলে যাবার পর এলো একটি বুনো মুরগী। কি বিশাল মুরগীরে বাবা! এতো বড় মুরগী তিনি জীবনে কখনো দেখেন নি। মুরগীটার ওজন কম করে হলেও অন্তত কিলো ছয়েক তো হবেই। চ্যাটার্জীবাবুর অব্যর্থ লক্ষ্যে মুরগীটি মারা পড়লো। এর খানিক ক্ষন পর আবার একটি মুরগী এলো এবং তার অবস্থাও আগের মুরগীর মতো হল। এরপর আর দেরি না করে সবাই মিলে ফরেষ্ট অফিসে ফিরে এলো।
সন্ধের আগে মুরগী দুটোর মাংস তৈরী করে নেওয়া হল।রান্না শুরু হবে সন্ধ্যে আটটা ন’টার দিকে।এখটু চা টা হয়ে যাবার পর সবাই ফ্রি হয়ে গেল। কোথাও যাবার নেই। এবার চললো গল্পের আড্ডা। এখন সুযোগ পেয়ে রমাপদবাবু প্রধান সাহেবকে বললেন- আচ্ছা প্রধান সাহেব, সেদিন যে আমার উপর অলৌকিক অত্যাচার হয়েছিল তার একটি কাহিনী আছে বলেছিলেন। এখন এই আড্ডার সময় সেই গল্পটি বলবেন কি? আমার বেশ শুনতে ইচ্ছা করছে। প্রধান সাহেব রমাপদবাবুকে সেই গল্প বলতে রাজি হলেন। এবার প্রধান সাহেব গল্পটি বলার জন্য প্রস্তুত হলেন।
(ক্রমশ……)
কপিরাইট@তারাপদ মাঝি
দেবনগর-নামখানা
৫ই অক্টোবর,২০১৯

কোন মন্তব্য নেই

গল্প বা কবিতা কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না

Blogger দ্বারা পরিচালিত.