যন্ত্রনা



যন্ত্রনা
বড় খারাপ লাগে যখন মনের মধ্যে
ক্রোধের চোরাস্রোতের দ্বারা বিভেদ সৃষ্টি হয়।
যেমন আজ হলো।

এতদিন চারটা বাজার পর নচিকেতার গানের স্টাইলে
ভিন্ন ভিন্নভাবে অফিস থেকে পলায়নকে
শিবের অনুচরের বিভেদ বলে মনে হয় নি।
যদিও আমাওরা একই রাস্তা ও একই স্টেশনের পথিক।

বড় খারাপ লাগে-
যখন দেখি প্রত্যেকে আমরা ভিন্ন হয়ে ভিন্ন কামরাতে উঠি,
বা এক কামরাতে উঠলেও নেমে যাওয়ার সময়
হাত নেড়ে ‘আসছি’ বলে শালীনতাটুকু না থাকে।
বুকটা বড় ফাঁকা হয়ে যায় যখন দেখি কথা বলার সাথী,
কখন না জানিয়ে নেমে গেছে ভীড়ে হারিয়ে।
এসব ঘটনা তার কাছে বিভেদ বলে মনে হয় নি।
আজ যখন সহ্যকারী অফিস সাজানোর জন্য
শিবের অনুচরকে তার এতদিনের স্থানকে ফেলে অন্যত্র আনা হলো,
তাতে সে বিভেদের গন্ধ খুঁজে পেল বা গন্ধ আগে পেয়েছিল,
আজ তা সুপ্ত ক্রোধানলে প্রকাশিত হলো।

যত রাগ তার ‘ছোট বউ’ এর ছোট্ট শিশুটির উপর।
শিশুটিকে সেদিন ‘হরলিক্স’ খাওয়ার বায়না ধরার জন্য
অসম্ভব রাশ দিয়ে মেরেছিল বজ্জাত ঠাকুমা,
সেই থেকে ‘খাই খাই’ ভাবটা আজও যায় নি তার।
এই বিভেদের মাঝে তাই ‘খাওয়ার’ গন্ধ পায়,
বড় খারাপ লাগে যখন চাক্ষুষ না দেখে
কাউকে সন্দেহের বসে সন্দেহ করা হয়।

আমি মুর্খ তাই দুঃখটি ফেসবুকে এনে ফেললাম।
এটা এখানেই থাকুক আজকের দিনের স্মৃতি হয়ে।
বড় ব্যথা পাবো যদি একে বাস্তবে টেনে আনা হয়।

তারাপদ মাঝি
২২/১১/২০১৬

কোন মন্তব্য নেই

গল্প বা কবিতা কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না

Blogger দ্বারা পরিচালিত.