#অবিশ্বাস্য_বিবাহ

#গল্প
#অবিশ্বাস্য_বিবাহ
#তারাপদ_মাঝি


-এই ছেলে কি নাম তোমার?
-আজ্ঞে অবিনাশ সেন?
-তা অবিনাশ, বিবাহের প্যান্ডেলের ইন্টিরিয়র ডেকরেটিং এবং বাসরঘর সজ্জার হেড কে? অলকবাবু কর্কশ গলায় জিজ্ঞাসা করলেন।
-আজ্ঞে আমি নিজে স্যার।
-তুমি নিজে!কত বয়স তোমার? তুমি পারবে এসব কাজ করতে? হাতে তো আর ঘন্টা আটেক সময় আছে! অলকবাবু উদ্বেগের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করলেন।
-আজ্ঞে আট ঘন্টা অনেক বেশী সময় স্যার। এর অর্ধেক সময় পেলে আমি কাজ করে দিতে পারবো।
-অর্থাৎ চার ঘন্টায় তুমি কাজটা করে দিতে পারবে বলছো?
-আজ্ঞে হ্যা স্যার।
-অর্থাৎ চার ঘন্টায় তুমি এক লক্ষ টাকা কামাবে?
-আপনি এ রকমভাবে দেখবেন না স্যার। সময় আমার চার ঘন্টা গেলে কি হবে আমার ম্যাটিরিয়ালের দাম আছে না! ঐ মেটিরিয়ালতো আমি দ্বিতীয়বার ব্যবহার করতে পারবো না। যদিও কিছু ব্যবহার হয়, তা খুবই সামান্য। তাছাড়া যে সতেরজন লেবার লাগিয়েছি, তাদের মজুরীর কথাও তো ভাবতে হবে। সবকিছু খরচ বাদে হয়তো হাজার পঁচিশ তিরিশ আমার থাকবে। বছরে হয়তো আট দশটা বরাত পাই স্যার। এ টুকু না রাখলে আমার সংসার বা চলে কি করে।

আড়াই ঘন্টার মধ্যে প্যান্ডেলের ইন্টিরিয়র ডেকোরেটিং এর কাজ কমপ্লিট হলো। এবার বাসর ঘর সজ্জার কাজ হবে। এমন সময় বাড়িতে একটি অস্থিরতা দেখতে পেলো অবিনাশ। সবাই খুব উদ্বিগ্ন এবং কুঞ্চিত কপাল নিয়ে ঘোরা ফেরা করছে। ব্যাপারটা যে খুব গুরুতর, তা অবিনাশ বুঝতে পারছে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা কি ধরতে পারছে না। এমন সময় অলকবাবু অর্থাৎ কনের মামা এসে বলে গেলেন যে বাসর ঘরের সজ্জা বন্ধ রাখতে। তখনই বুঝলেন বিষয়টি গুরুতর।

এবার অবিনাশ খুব চিন্তায় পড়লেন। ডেকরেটিং এর কাজ প্রায় শেষ। কাজ আর সামান্যই বাকি। এই অবস্থায় যদি বিয়ে ভেঙে যায়, তাহলে অবিনাশের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে। সে ক্ষেত্রে চুক্তির কাঙখিত অর্থ পাওয়া যায় না। ফলে লাভ তো হয় না, লোকসান হয় বেশী। জানি না ঠাকুর কপালে কি রেখেছে।

অবিনাশ গ্রামের ছেলে। বাড়ি তার পাথর প্রতিমা থানার দূর্বাচটি গ্রামে। বাড়িতে বাবা মা ছাড়া একটি পনের বছরের ছোট ভাই আছে। বাড়িতে বিঘে চারেক চাষ জমি আছে। বাবা একটি খেয়া নৌকা চালায় দূর্বাচটি থেকে নামখানার দূর্গানগর। ছোট্ট নদী। লোকদের আড়পার করে দিতে হয়। ভাড়া মাত্র পাঁচ টাকা। বেশী লোক হয় না। তবু দিনে দুই আড়াই'শ টাকা রোজগার হয়েই যায়। গ্রামের স্কুল থেকে পড়া শেষ করে অবিনাশ পড়তে গেল কলকাতার দীনবন্ধু এন্ড্রুজ কলেজে। সেখানে পলিটিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়া শুনা করতে লাগলো। থাকতো গড়িয়ার একটি মেসে। বছর পাঁচেক ওখানে থেকে মাষ্টার ডিগ্রি পেল। অবশেষে স্কুলের চাকুরীর আশায় যাদবপুর থেকে বি. এড করে কি করবে ভাবছে। শিক্ষকতার চাকরী তখন খুবই দুঃষ্প্রাপ্য। কারণ সালটা ছিল ২০১২ সাল, যখন উৎকোচ না দিলে চাকুরী অসম্ভব। এমন সময় অবিনাশ ঠিক করলো পলিটেক্নিক পড়বে। তপশিলি জাতি হওয়ায় বয়সের ছাড় নিয়ে দু,বছরের জন্য হলদিয়াতে পলিটেকনিক কলেজে ভর্তি হলো। সাবজেক্ট পেলো মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।ঐ সময় একটি প্রতিষ্ঠানে রাতের বেলা বিবাহ বাড়ির, পূজা প্যান্ডেলের ইনটিরিয়র ডেকরেটিং এর একটি এক বছরের কোর্স করে। উদ্দেশ্য চাকুরী না পেলে ডেকরেটিং এর কাজ করে পেটের ভাত যোগানো।

অবিনাশ দু'বছর পর ফিরে এলো গড়িয়ার পুরানো মেসে। সেখানে একটি ডেকোরেটিং এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে ইন্টিরিয়র ডেকোরেটিং ষ্পেশালিষ্ট হিসাবে কাজ করতে শুরু করলো। এক বছর কাজ করার পর অবিনাশের হাতে বেশ কিছু পয়সা জমলো। সে ঠিক করলো যে সে নিজেই ইন্টিরিয়র ডেকোরেটিং এর এজেন্সি খুলবে। তার এজেন্সির মালিককে তার অভিপ্রায়ের কথা জানালে মালিক শিবপ্রসাদবাবু রাজি হয়ে যান। তিনি অবিনাশকে এজেন্সি খোলার জন্য সহযোগীতা করেন। চুক্তি হলো প্যান্ডেলের পরিকাঠামো তৈরীর জন্য অবিনাশের এজেন্সি শিবপ্রসাদবাবুর এজেন্সিকে পাবলিকের কাছে সুপারিশ করবে। বিনিময়ে শিবপ্রসাদবাবুর এজেন্সি ইন্টিরিয়র ডেকোরেটিং এর জন্য অবিনাশের এজেন্সিকে সুপারিশ করবে। অবনাশ একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে তার ব্যবসা শুরু করলো। এবং মঙ্গলময় মঙ্গল চন্ডীর কৃপায় তার ব্যবসা রমরমিয়ে চলতে লাগলো। তিন বছর ব্যবসা করে এখন অবিনাশ দশ বারো লক্ষ টাকা জমাতে পেরেছে। এখন একদিনে একটিমাত্র বিবাহ বাড়ির কাজ করার সক্ষমতা আছে। অবিনাশের ইচ্ছে এটা বাড়িয়ে দুই তিনটি ক্ষমতায় নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এই বেহালায় ডেকরেটিং করতে এসে বিয়ে পন্ড হওয়ার ঘটনা এই প্রথম তার ব্যবসায়িক জীবনে ঘটলো। ব্যাপারটা তাহলে খুলেই বলা যাক।

অবিনাশ বেহালার যে বাড়িতে ডেকোরেটিং করতে এসেছে, সেই বাড়ির মালিকের নাম হলো রুদ্রনীল সমাদ্দার। তিনি বেহালার একজন শিল্পপতি। তার বেহালাতে একটি ইঞ্জিনের স্পেয়ার পার্টস-এর কারখানা আছে। সেই কারখানায় ডিজেল ইঞ্জিনের ওয়ান সিলিন্ডার থেকে ফাইভ সিলিন্ডার পর্যন্ত ক্রেঙ্ক কেস ও ক্রেঙ্ক শ্যাফট উৎপাদন করে থাকেন। এই পার্টসগুলি বিভিন্ন নামী দামী অটোমোবাইল কোম্পানি কিনে নেন। কারখানা বড় এবং তিন'শ মতো কর্মচারী কাজ করেন। রুদ্রনীলবাবুর একমাত্র কন্যা এবং উত্তরাধিকারী সুতপার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে বিনায়ক সেনের সঙ্গে যে রুদ্রনীলবাবুর কারখানার ম্যানেজার এবং রুদ্রনীলবাবুর বন্ধুর ছেলে। সবই ঠিক ছিল। কিন্তু বিয়ের দিনই বিনায়কবাবু গোঁ ধরলেন যে কারখানাটি আজই তার নামে লিখে দিলে তবেই তিনি বিয়ের পিড়িতে বসবেন। এদিকে মেয়ের গায়ে হলুদ উঠে গেছে। বিয়ে বন্ধ করা মানে মেয়ে লগ্ন ভ্রষ্টা হবে। কিন্তু রুদ্রনীলবাবু এবং তার মেয়ে সুতপাও কম যান না। তারা স্থির সিদ্ধান্ত নিলেন যে বিনায়কবাবুর আবদার মেনে নেওয়া হবে না এবং সুতপা তাকে বিয়েও করবেন না। তাহলে যে সুতপা লগ্নভ্রষ্টা হবে। রুদ্রনীলবাবু আত্মীয়দের কাছে মুখ দেখাবেন কি করে? সমাধান দিলেন সুতপা। এত বড় বিয়ের অনুষ্ঠানে এত লোকজন যুবক এসেছে, তার উপযুক্ত কেউ কি নেই? কেউ কি আমাকে লগ্নভ্রষ্ট হতে বাঁচাতে পারবেন না! বিবাহ বাড়ির উপস্থিত লোকজনের মধ্য থেকে তার উপযুক্ত মনের মানুষ খুজতে বের হলো সুতপা।

বিবাহ প্যান্ডেলের এক কোনে একটি প্লাসটিক চেয়ারে বসেছিল অবিনাশ। হঠাৎ তার দিকে চোখ পড়লো সুতপার। ছেলেটি প্রায় ছ'ফুটের কাছাকাছি উচ্চতার।উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ নিটোল শরীর টিকালো নাশিকার অবিনাশকে সুতপার বেশ মনে ধরলো। বাবাকে ডেকে ছেলেটির খোঁজ খবর নিতে বললো সুতপা। বাবা বেগতিক দেখে অবিনাশকে ডেকে নিয়ে সোজা অন্দর মহলে সুতপার কাছে হাজির হলো। বললো- মা সুতপা তোমার যা জানার ছেলেটির কাছ থেকে জেনে নাও।

সুতপা অবিনাশের দিকে তাকালো।মেয়েটিকে দেখে অবিনাশের আত্মা খাঁচাছাড়া। মেয়ে তো নয় যেন সাক্ষাৎ দানবদলনী মা দশভূজা। সুতপা জিজ্ঞাসা করলো-কি নাম আপনার?
-আজ্ঞে অবিনাশ সেন।
-বাড়ি কোথায়?
-দক্ষিন চব্বিশ পরগণার পাথর প্রতিমা ব্লকের দূর্বাচটি গ্রামে।
-এখানে কি জন্য এসেছেন?
-আজ্ঞে আমি প্যান্ডেলের ইন্টিরিয়র ডেকরেটর।
-পড়াশনা কতদুর করেছেন?
-আজ্ঞে পলিটিক্যাল সায়েন্সে এম.এ, বি.এড।
-এতদূর পড়াশুনা করে এই কাজ করছেন কেন?
-নিজের প্রয়োজনে অর্থ উপার্জনই একমাত্র লক্ষ্য। তার জন্য যে কোন কাজই করা যায়। কোন কাজই ছোট নয় বা ছোট করে দেখা উচিত নয়।
-চমৎকার! আমি একটি বিপদে পড়েছি। আমায় সাহায্য করবেন?
-আমার ক্ষমতা থাকলে নিশ্চয় সাহায্য করবো।
-আজ আমার বিয়ে না হলে আমি লগ্ন ভ্রষ্টা হয়ে যাবো এবং আপনি আমায় সেই বিপদ থেকে বাঁচাতে পারেন।
-অবিনাশ ইলেকট্রিকের চড়া আলোয়ও নিজেকে ঘন অন্ধকারে নিমজ্জিত মনে করতে লাগলো। সহসা সে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে নিশ্চল দাঁড়িয়ে রইলো। তারপর আস্তে আস্তে অবচেতন মন থেকে বাস্তব পরিস্থিতিতে পৌছাতে শুরু করলো।
-দেখুন আমি আপনাকে বিয়ে করতেই পারি। কিন্তু আমাকে আমার বাবা মায়ের দেখভালের জন্য সুযোগ দিতে হবে। আপনার যা আর্থিক অবস্থা সেই তুলনায় আমি ভিক্ষুক। তাই আমি আপনাকে আমার বাড়িতে থাকার জন্য কোন অনুরোধ করবো না। আপনি আপনার খুশিমতো থাকতে বা জীবন নির্বাহ করতে পারবেন। আমি কখনো আপনার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবো না। শুধু এই টুকু অনুরোধ করবো আমাকে যেন কোন দিন অসম্মানিত করা না হয়।
-আপনি নিশ্চিত থাকুন যে আপনি আমার কাছ থেকে প্রকৃত স্ত্রীর মর্যাদা পাবেন। তাহলে কি বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু করতে পারি?
-নিশ্চিন্তে।
ধুমধাম করে অবিনাশ আর সুতপার বিয়ে হয়ে গেল।

সুতপা ও অবিনাশ পরষ্পর ভালোবাসায় মেতে উঠেছে। একদিন রুদ্রনীলবাবু অবিনাশকে বললেন- বাবা, অবিনাশ তোমাকে যে আমার কারখানার দায়িত্ব নিতে হবে। আমার বয়স হয়েছে।আমি আর প্রতিদিন কারখানায় যেতে পারছি না। তাই তুমি দায়িত্ব নিলে আমার খুব উপকার হয়।
-ঠিক আছে আপনি আমায় সব বুঝিয়ে দিন। আমি কারখানার কাজ দেখভাল করতে রাজি আছি।
-তবে কারখানায় একটু সমস্যা আছে?
-কিসের সমস্যা বাবা?
-আমার বন্ধুর ছেলে বিনায়ক সেন অর্থাৎ যার সঙ্গে সুতপার বিয়ের কথা হয়েছিল, সে তো আমার কারখানার ম্যানেজার। সে এখন বেশ কারখানায় গন্ডগোল করার চেষ্টা করছে। তাকে যে কিভাবে সামলানো যায় তাই ভাবছি।
-আপনি আমায় কারখানায় নিয়ে চলুন। ও সমস্যা আমি ঠিক সামলে নিতে পারবো।

সেদিন ছিল সোমবার। রুদ্রনীলবাবু সব কর্মীকে ডেকে অবিনাশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। অবিনাশ সবার সঙ্গে হৃদ্যতার সঙ্গে আলাপ সারলেন। তারপর বিনায়কবাবুর সঙ্গে বসলেন। বললেন- এ বছর কোম্পানীর অডিট করিয়েছেন?
-এ প্রশ্নের উত্তর আমি আপনাকে দিতে বাধ্য নই। বিনায়কবাবু রাগত স্বরে বললেন।
-এ প্রশ্নের উত্তর দিতে আপনি বাধ্য। রুদ্রনীলবাবু কড়া ভাষায় বিনায়ককে বললেন। তারপর বললেন- এই কারখানার একমাত্র উত্তরাধিকারী আমার জামাই অবিনাশ। তাই এরপর থেকে এই রকম অভব্যতা যেন অবিনাশকে শুনতে না হয়।
-এবার অবিনাশ বললেন-আগামীকাল দশটায় আমি কারখানায় আসছি। আপনি কোম্পনীর লেটেষ্ট অডিট রিপোর্ট, ব্যালেন্স সীট, ডিমান্ড এন্ড সাপ্লাই প্রভৃতি ফাইলগুলো বেছে রাখবেন। আমি দেখবো বর্তমান কোম্পানীর আর্থিক অবস্থা কি রকম।

এবার অবিনাশ ঢুকলেন ফার্নেশ সেকশানে যেখানে কাষ্ট আয়রন তৈরী হচ্ছে এবং তাই দিয়ে ক্রেঙ্ক কেস ও ক্রেঙ্ক শ্যাফট তৈরী হচ্ছে। সেখানে গিয়ে অবিনাশ বুঝলেন যে প্রোডাক্টগুলি ঠিক ঠাক তৈরী হচ্ছে না। কাষ্ট আয়রনে বিভিন্ন ধাতুর অনুপাত ঠিক ঠাক নেই। এতে প্রোডাক্টের ডেনসিটি কম হওয়ায় ইলাসটিসিটি কম হবে। এতে ক্রেঙ্ক কেস ও শ্যাফট ফেটে যাবে।ফলে এর গুনমান খারাপ হওয়ার কারণে বাজারে ডিমান্ড কমে যাবে। কোম্পানী লসের মুখে পড়বে। এটা বুঝতে পেরে অবিনাশ প্রোডাকশান বন্ধ করতে বললেন এবং শ্বশুর রুদ্রনীলবাবুকে বিষয়টি বুঝিয়ে বললেন।

রুদ্রনীলবাবু বাড়িতে ফিরে মেয়ে জামাইয়ের সঙ্গে চায়ের টেবিলে বসে জিজ্ঞাসা করলেন- বাবা অবিনাশ, তুমি এই প্রোডাক্টের বিষয়ে কিভাবে জানলে?
-বাবা, আমি এম. এ পাশ করলেও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর দু' বছরের পলিটেকনিক ডিপ্লোমা ডিগ্রি আছে। তাই এসব জানতে আমার অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
সুতপা এবং রুদ্রনীলবাবু বিষ্ফারিত নয়নে অবিনাশের দিকে তাকিয়ে চা পান বন্ধ করে স্তব্ধ হয়ে বসে রইলেন।

কপিরাইট @তারাপদ মাঝি
দেবনগর
১৮ই জুন, ২০২২ খ্রীষ্টাব্দ 

কোন মন্তব্য নেই

গল্প বা কবিতা কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না

Blogger দ্বারা পরিচালিত.