হোগলা স্টেশনের রোজনামচা

হোগলা স্টেশনের রোজনামচা

হোগলা স্টেশনে নেমে দেখি
প্রতিদিনের মতো আজও এসেছেন
শিবপুর প্রাথিমিক স্কুলের শিক্ষক।
তার সঙ্গে আমার তিন বছরের পরিচয়,
তবে নাম জানা হয়নি আজও।
“দাদা” বলে ডাকলে যদি কাজ চলে যায়,
তাহলে নাম জেনে লাভ কি?
দু'জনে পরষ্পরকে মিষ্টি হাসির বিনিময় করি,
চলে যাই আপন আপন কাজে।
কিছুটা হাঁটলে দেখা হয় খোঁড়া দিদি
আর তার থেকে কম বয়সী যুবতীদের সঙ্গে।
তারা নিচুস্বরে গল্প করতে করতে হাঁটে
আর মৃদু হাসির ঢেউ তোলে।
আমাকে দেখলে তারা হেসে পথ ছেড়ে দেয়।
আমার স্টেশনে পৌছানোর কিছু পরে
এক চাচা আসে তার বিবিকে
বাইকে বসিয়ে আনে স্টেশনে অতি যত্নে।
কালো বোরখায় ঢাকা শরীর
মুখখানা খুব যত্নে হিজাবে ঢাকা।
এর পরই দেখা হয় এক ভদ্রলোকের সঙ্গে
যিনি বাইকে চড়ে আসেন প্রতিদিনই
আর আমায় জিজ্ঞাসা করেন,
“দাদা, ডাউন ট্রেনটা এখনো আসেনি তো?
তারপর মাংসের দোকান ছাড়িয়ে
কুমোরের বাড়ি বাঁয়ে ফেলে
উপস্থিত হই বুড়ো খিরিশ গাছটার কাছে।
এরপর বড়ো পুকুরের পাড় ধরে হেটে
যখন রাস্তায় উঠি তখন নাকে আসে
পরোটা ভাজা আর আলুতরকারীর গন্ধ।
ইসলামিয়া হোটেল হলেও খেতে মন চায়,
কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শের কথা মনে আসে।
তখনই মুখে জালতি লাগিয়ে নিজের পথ ধরি।
পথের পাঁচালী-১
কপিরাইট@ তারাপদ মাঝি
দেবনগর
১৯/১১/১৮

কোন মন্তব্য নেই

গল্প বা কবিতা কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না

Blogger দ্বারা পরিচালিত.