#কাঁটা_দিয়ে_কাটা_তোলা


সুন্দর গল্প ও কবিতা


পর্ব-১
সময়টা ১৯০২ সাল নাগাদ। কলকাতা শহরের ফুটপাত ধরে এক যুবক রাত্রি ন'টার সময় হেঁটে চলেছেন। খুব অন্যমনস্ক তিনি। মাঝে মাঝে রাস্তায় দাঁড়িয়ে একা একা কি যেন আপন মনে বলতে থাকেন। তারপর আবার হাঁটতে শুরু করেন। অবশেষে একটি মুদি দোকানের কাছে এসে দাঁড়ালেন। এবার যুবকটি দোকানে ঢুকলেন। দোকানে বসে আছেন এক ভদ্রলোক। ভদ্রলোকের নাম অবিনাশ ভট্টাচার্য। ফর্সা রোগা অবিনাশ যুবককে দেখে বললেন-কি বিকাশ, এতো রাতে দোকানে এলে? খবর ভালো তো?
-খবর সব ভালো। কিন্তু বাড়িতে ভাঁড়ার শুন্য। একমুঠো দানাও নেই।বাড়ি থেকে বাবা টাকাও পাঠান নি। খুব বিপদে পড়েছি। দয়াকরে কিছু চাল ডাল দেন। সংসারটা চলুক।
-অবিনাশবাবু একেবারে হিসেবী মানুষ। তিনি হিসাব করে কাজ করেন। জীবনে কখনো তিনি হিসাবের বাইরে পা ফেলেন না। সেই জন্য তিনি এই চল্লিশ বছর বয়সে প্রচুর টাকার মালিক হতে পেরেছেন।বিকাশকে ধারে মাল দিতে গিয়ে একটু হিসেব নিকেশ করতে লাগলেন। বললেন- বাবা টাকা পাঠান নি কেন?
-বোধ হয় পড়তে এসে এখানে বাবার অমতে বিজাতীয় মেয়েকে বিয়ে করার শাস্তি এটা।
-তা তোমার বাবা ঠিক কাজই করেছেন। বাবা এতো খরচ পাতি করে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি করালো তোমার ভালোর জন্য। আর তুমি কিনা পড়াশুনা ছেড়ে বিজাতীর মেয়েকে বিয়ে করলে? এতে বাবা তো ক্ষুণ্য হবেনই। তাহলে এখন তোমার গ্রাসাচ্ছাদনের উপায় কি?
-এখন তেমন কিছু ভাবি নি। কিছু একটা তো করতেই হবে। নাহলে সংসার চলবে কি করে? দেখি কি করা যায়।
-তাহলে তো তোমায় ধারে মাল দিতে পারি না ভায়া। তোমাকে না জেনে অনেক ধারে মাল দিয়েছি। তখন জানতাম যে তোমার দেশ বাড়ি থেকে টাকা এলে আমায় শোধ করে দেবে। কিন্তুএখন যখন শুনলাম যে দেশ বাড়ি থেকে টাকা আসবে না, তখন খামোকা তোমায় ধার দিয়ে আমার বিপদে পড়ার কোন ইচ্ছাই নেই।তুমি এখন আসতে পারো ভাই।
-বিকাশ অবস্থাপন্ন বাড়ির ছেলে। বলতে গেলে কোন দিন দারিদ্রের যন্ত্রনা ভোগ করেন নি।লোককে সর্বদা শাসন করে এসেছেন। কিন্তু কোন দিন শাসিত হন নি। তাই অবিনাশবাবুর সঙ্গে বিকাশের ধারে মাল নেওয়া নিয়ে ঝগড়া শুরু হলো। ঝগড়া এমন পর্যায়ে গেল যে দু'জনের মধ্যে শিষ্টাচার হারিয়ে গিয়ে হাতাহাতি হওয়ার উপক্রম হওয়াতে অবিনাশবাবুর কর্মচারী দু'জন এসে বিকাশকে দোকান থেকে বের করে দেবার চেষ্টা করতে লাগলো। এমন সময় স্থানীয় থানার ও.সি অর্থাৎ মানিকতলা থানার ও.সি দোকানে ঢুকলেন।
-কি ব্যাপার। গন্ডগোল কিসের? ও.সি জিজ্ঞাসা করলেন।
-স্যার, এই যুবক আমার কাছে অনেক টাকার ধারে মাল নিয়ে গেছেন। একটাও পয়সা দেন নি। আবার এসেছে ধারে মাল নিতে। না দেওয়াতে গন্ডগোল করছেন। এই বলে অবিনাশবাবু বিকাশকে দেখিয়ে দেন।
-কি নাম আপনার? ও.সি বিকাশকে জিজ্ঞাসা করেন।
-বিকাশ অত্যন্ত অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। এ রকমটা যে হবে সে একবারও ভাবতে পারে নি। কিন্তু পরিস্থিতি যখন সৃষ্টি হয়েছে তখন যে ভাবেই হোক সামাল দিতে হবে। তাই ও.সি কে বললেন- আমার নাম বিকাশ সেন।
-বাড়ি কোথায়?
-আজ্ঞে তমলুক।
-বাবার নাম কি?
-মোহিনীমোহন সেন। বিকাশ ইতস্তত করে কথাগুলি বললে।
-ওহ, তুমি মোহিনীবাবুর ছেলে! তা বেশ বেশ। এবার অবিনাশবাবুর দিকে তাকিয়ে বললেন- ভদ্রলোকের ছেলে একটু বিপদে পড়ে আপনার কাছে এসেছে। তা বলে আপনি ওকে যা নয় তা বলবেন! কেন ও কি আপনার ধার মেটাতে পারবেন না? আপনি ওকে ধারে যা চায় তাই দিন। ওর দেওয়া সময় পার হয়ে গেলে যদি আপনি আপনার টাকা না পান, তা হলে আমার কাছ থেকে আপনি সব টাকা পেয়ে যাবেন। এবার ও.সি দোকান থেকে চলে যাবার আগে বিকাশকে বললেন- আপনি আমার সঙ্গে একাবার থানায় দেখা করবেন তো?

পর্ব-২
পরের দিন সকাল দশটায় মানিকতলা থানায় বিকাশ উপস্থিত হলো।ও.সি জয়ন্ত দত্ত বিকাশকে চেয়ারে বসতে বললেন। তারপর জিজ্ঞাসা করলেন- চা খাবে না কফি খাবে?
-না থাক। কিছুই লাগবে না। আমাকে কেন ডাকলেন তাই বলুন।
-আরে সে তো বলবো। আগে একটু চা বা কফি হলে ভালো হয় না কি?
এবার জয়ন্তবাবু নিজের বেয়ারাকে কফি আনতে বললেন। এরপর বিকাশের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠলেন। বিকাশ বুঝতেই পারলো না যে জয়ন্তবাবু তার কাছ থেকে একেবারে তার হাঁড়ির খবর পর্যন্ত জেনে নিলেন। সেই সঙ্গে জয়ন্তর দুর্বল জায়গাগুলোও জেনে নিলেন।জয়ন্তবাবু একজন ডাকসাইটে পুলিশ অফিসার। সন্ত্রাস দমনে তাঁর বিশেষ দক্ষতা আছে এবং তিনি সন্ত্রাসী সনাক্তকরণে একেবারে সিদ্ধহস্ত। ১৯০২ সাল নাগাদ মানিকতলায় সন্দেহ মুলক কিছু কার্যকলাপ দেখে বৃটিশ সরকার তাঁকে মানিকতলায় এনেছেন।
-গল্প শেষ করে জয়ন্তবাবু বললেন-পুলিশে চাকরী করবেন বিকাশবাবু?
-বিকাশ এই কথাটার জন্য একেবারে প্রস্তুত ছিল না।স্বদেশী আন্দোলনের রক্ত তার শিরায় বইতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় পুলিশে চাকরী নেওয়া মানে স্বদেশী আন্দোলনের বিরুদ্ধে যাওয়া। সে একেবারেই সম্ভব নয়। তাই সে জয়ন্তবাবুকে চাকুরী করবে না বলে জানালো।
-কেন চাকুরী করতে আপত্তি কোথায়? আপনার তো অভাব রয়েছে।তা হলে চাকরী করবেন না কেন?
-ও পুলিশের চাকরী আমার আদর্শের বিরোধী। বিকাশ বললে।
-কেন! বিরোধী কেন? একটু বুঝিয়ে বলুন তো দেখি?
-আমি পুলিশে কাজ করলে কর্তব্যের খাতিরে আমার বন্ধু বান্ধবদের বিরুদ্ধে একদিন হয়তো আমাকে ব্যবস্থা নিতে হতে পারে। সে আমার দ্বারায় হবে না।
-বুঝেছি। আপনি সম্পর্কের মোহে পড়েছেন।আরে বাবা এই পৃথিবীতে প্রত্যেকে নিজেদের কাজ করতেই এসেছে। আপনি আপনার কাজ করবেন। আপনার বন্ধু তার কাজ করবে।প্রত্যেকে নিজ নিজ কাজের জন্য পারিশ্রমিক পাবে। পৃথিবীতে চোর, গুন্ডা, বদমায়েশ, সৎ, অসৎ ইত্যাদি থাকতে হবে। তা নইলে চলবে কেন? সবাই যদি সৎ হয়ে যায় সেটা যেমন সমাজের ক্ষেত্রে এক ঘেয়েমী আবার অস্বাস্থ্যকরও বটে। আবার সবাই অসৎ হয়ে গেলে সেটাও একই রকম হবে। সুতরাং সমাজে সৎ ও অসৎ এর সহাবস্থান এবং সাম্যাবস্তায় থাকা দরকার। ধরে নিন আপনি পুলিশ হয়ে অসৎ এর দলে যোগ দিলেন। এতে আপনার টাকার অভাব মিটবে এবং সৎ অসৎ এর ব্যালেন্সও হবে।
-কিন্তু……..
-বিকাশ কিছু বলতে যাচ্ছিল। তাকে থামিয়ে দিয়ে জয়ন্তবাবু বললেন- আচ্ছা তোমাকে পুলিশের এমন কাজ দেওয়া হবে যাতে কেউ জানতে পারবে না যে আপনি পুলিশের কাজ করেন। তাহলে তো আপনার কোন সমস্যা নাই?
- এমন কি কাজ আছে যা করলে কেউ জানতে পারবে না যে আমি পুলিশে কাজ করি!
-আপনি গোয়েন্দার কাজ করবেন। সাদা পোষাকে শহরে ঘুরবেন এবং গন্ডগোলের আভাষ পেলেই থানায় জানাবেন। এতে আপনার অভাব মিটবে এবং শহরে শান্তি শৃঙখলা বজায় থাকবে।

পর্ব-৩
অর্থাভাব মানুষের সবচেয়ে বড় অভাব। বিকাশ এই অর্থাভাবের চক্করে পড়ে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে যোগ দিল।চট্টগ্রামে একমাস ট্রেনিং এর পর কলকাতার মানিক তলার থানায় যোগ দিল।এর পর বিকাশ কাজ করতে শুরু করলো।১৯০২ সালে ডিসেম্বর মাসে বিকাশ থানায় জানালো এক গুরুত্বপুর্ণ খবর।বিকাশ জানালো যে ১২নং মদন মিত্র লেনে “অনুশীলন সমিতি” নামে একটি গুপ্ত সমিতি গঠন করা হয়েছে। এই সমিতির প্রতিষ্ঠাতা হলেন সতীশ্চন্দ্র বসু।সদস্যরা হলেন-প্রমথনাথ মিত্র,যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়,বারীন্দ্রকুমার ঘোষ,অরবিন্দ ঘোষ,চিত্তরঞ্জন দাস,রাসবিহারী ঘোষ ও অন্যান্য আরও অনেকে।
-ও.সি জয়ন্তবাবু বললেন- বিকাশ আপনি তো ওদের সদস্য হতেই পারেন। আপনি সদস্য হয়েই ওদের কার্যকলাপের দিকে নজর রাখুন। বেচাল দেখলেই জানাবেন। তখন আমরা থানা থেকে ব্যবস্থা নেব।
বিকাশ অনুশীলন সমিতির সদস্য হয়ে গোয়েন্দার কাজ চালিয়ে যায়। এরপর একদিন থানায় রিপোর্ট করলো-অনিশীলন সমিতি তাদের শাখা খুলতে শুরু করেছে। দর্জিপাড়া, পটলডাঙ্গা,খিদিরপুর,সালকিয়া,হাওড়া,শিবপুর,বালি, শ্রীরামপুর ইত্যাদি জায়গায় এদের শাখা ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকাতে এদের সবচেয়ে বড় শাখা খোলা হয়েছে। ঢাকা অনুশীলন সমিতির মধ্যে অন্তত ৫৮০ খানা শাখা আছে।
-জয়ন্ত দত্ত চোয়াল শক্ত করলেন। তাকে সন্ত্রাস দমন করার জন্য মানিকতলায় আনা হয়েছে। কিন্তু এ তো দেখছি সন্ত্রাসের আখড়া শুরু হয়েছে। তিনি গম্ভীরভাবে বিকাশকে বললেন- বিকাশবাবু, আপনি এদের গতিবিধির দিকে বেশ নজর রাখুন। প্রতিটা খবর আমাকে জানানো চাই। এদের কাছ থেকে আপত্তি জনক কিছু না পেলে আ্যাকশান নেওয়া যায় না।তাই আপত্তি জনক কিছু পেলেই আ্যাকশান নেবো।
-সেদিনটা ছিল ১লা শ্রাবন রবিবার। সবাই সমিতিতে বসেছে। আলোচনা হচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রামের রাস্তা বা পথ নিয়ে। দেখা গেল এক সময় উপস্থিত সদস্যরা দু'দলে ভাগ হয়ে গেছে।এক দল চায় সশস্ত্র বিপ্লবের পথ। আর একদল চায় নিস্ক্রিয় প্রতিরোধের পথ।গুরুত্বহীন সাধারণ সদস্য হিসাবে সেদিন বিকাশ সব আলোচনা শুনলেন এবং তা ও.সি জয়ন্ত দত্তকে জানালেন। জয়ন্তবাবু খুব খুশি হলেন এই খবর শুনে। যখন আন্দোলনকারীরা দলে বিভক্ত হয়ে যায় মতাদর্শের ভিত্তিতে তখন আন্দোলন মন্থর হয়ে যায়। সেই আন্দোলনের বিষ দাঁত ভেঙ্গে যায়।
১৯০৫ সাল। হঠাৎ একদিন লর্ড কার্জন ঘোষণা করলেন যে বাংলাকে শাসনের সুবিধার জন্য ভাগ করে দেওয়া হবে। শুরু হয়ে গেল বঙ্গ ভঙ্গ প্রতিরোধ আন্দোলন। বাঙলা অশান্ত হয়ে উঠলো।জয়ন্ত দত্তের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেল। বিকাশের উপর ভার পড়লো বিপ্লবীদের গতবিধি জানার জন্য। বিকাশ একের পর এক খবর সংগ্রহ করতে লাগলো। বিকাশ পেটের দায়ে দেশদ্রোহী হয়ে বৃটিশেরকাজে ঝাঁপিয়ে পড়লো। পে মারাত্বক সব খবর।সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য “ছাত্র ভান্ডার” নামে একটি সংগঠন তৈরী করেছেন ইন্দ্রনাথ মল্লিক এবং নিখিলেশ্বর রায় মল্লিক। কিন্তু কোন প্রমান পাওয়া যাচ্ছে না।ফলে পুলিশ কোন আ্যাকশান নিতে পারছে না।
একদিন হঠাৎ করে দেখা গেল কলকাতার রাস্তায় বিতরন করা হচ্ছে “No Compromise” বলে এক ইস্তেহার। এরপর দেখা ন গেল “রাজা কে?”। এবং তার পরে দেখা গেল “সোনার বাংলা” নামে দু'টি ইস্তেহার। তিনটি ইস্তেহারে “সন্ত্রাসবাদ “ এর কথাই প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু কে প্রকাশ করছে, কে ছড়াচ্ছে এই সব পত্রিকা তার কোন হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না।
বিকাশের উপর আরও গুরুত্বপুর্ন দায়িত্ব এসে পড়ে।চারজন বিপ্লবীকে নজরে রাখতে। তারা হলেন বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, উল্লাসকর দত্ত, হেমচন্দ্র কানুনগো এবং প্রফুল্ল চাকী। এদের মধ্যে কয়েকজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর ব্যামফিল্ড ফুলারকে নৈহাটীতে খুন করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা ব্যার্থ হয়। প্রমানের অভাবে সন্ত্রাসীদের কাউকে ধরা যায় নি।
এমন সময় লর্ড মিন্টো ভারতের গভর্নর হয়ে এলেন। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন আরও তীব্র হলো। জয়ন্ত দত্ত এবং বিকাশের উপর আরও চাপ বাড়লো সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায়।ইতিমধ্যে হেমচন্দ্র ইউরোপ থেকে ফিরে আসায় বাংলায় সন্ত্রাসবাদ একটি বিশেষ মাত্রা পেল। তার আঁচ জয়ন্ত এবং বিকাশ ভালোই টের পেতে লাগলেন।
একদিন সমিতিতে গিয়ে বিকাশ খবর পেল যে অত্যাচারী ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। জয়ন্ত দত্ত এই খবর পাওয়া মাত্র উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানালেন। সঙ্গে সঙ্গে কিংসফোর্ডকে মজঃফরপুরে বদলী করে দেওয়া হলো। বাকী খবর আর বিকাশ সংগ্রহ করতে পারলেন না। তার আগেই বিপ্লবীদের কাছে সে টিকটিকি হিসাবে চিহ্নিত হয়ে গেছে।
মানিক তলায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বেড়েই চললো। কিংসফোর্ডকে হত্যা করতে গিয়ে ক্ষুদিরাম বসু এবং প্রফুল্ল চাকী ধরা পড়লেন। প্রফুল্ল আত্মহত্যা করতে পারলেও ক্ষুদিরাম ধরা পড়লেন। কিন্তু এসব খবর গোয়েন্দা বিকাশ সেন পেল না কেন? সে কোথায়? কলকাতার পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও বিকাশ সেনের কোন খোঁজ পেল না। যখন বিকাশ সেনকে খুঁজে পাওয়া গেল না, তখন বাকিটা কারও বুঝতে বাকি রইলো না।এইভাবে বৃটিশরা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলে সেই কাঁটাকে চিরদিনের জন্য নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। হয়তো জয়ন্ত দত্তেরও একদিন বিকাশের মতো অবস্থা হবে।
(গল্পটি লিখতে গিয়ে জয়ন্ত দত্ত ও বিকাশ সেন চরিত্র দু'টি কাল্পনিক।বাকি কাহিনী ইতিহাস প্রমানিত। লেখাটি লিখতে গিয়ে ক.উইকিপিডিয়া,খ.আধুনিক ভারতের রুপান্তর-অধ্যাপক সমর কুমার মল্লিক,গ.ভারতের ইতিহাস-অধ্যাপক কিরণচন্দ্র চৌধুরী পুস্তকগুলির সাহায্য নেওয়া হয়েছে)

কপিরাইট @তারাপদ মাঝি
১৫ই আগষ্ট,২০১৯
দেবনগর- নামখানা

কোন মন্তব্য নেই

গল্প বা কবিতা কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না

Blogger দ্বারা পরিচালিত.