ফিরে দেখা স্মৃতি

 
ফিরে দেখা স্মৃতি

আজও কুল্পীর স্মৃতি তাজা হয়ে আছে।সেদিন কুল্পী গিয়েছিলাম।বড্ড শুন্য লাগছিল অফিসটাকে।অফিসে মানুষ আছে কিন্তু প্রান নেই।আমাদের পুর্বপরিচিত বেশ কয়েকজন আছেন। কথা হলো না হওয়ার মতো। মল্লিকা, সুমিতদা, নরেনদা,মানিক আর নির্মাল্য। এরা প্রত্যেকে কথা বললেন। কিন্তু আগের সেই আন্তরিকতা নেই। অফিসে ঢুকেই আগে কম্পিউটার সেলে গিয়েছিলাম প্রচন্ড গরম থেকে বাঁচতে এবং একটু জিরিয়ে নিতে ওখানে যাওয়া। ঢুকতেই মানিকের সঙ্গে দেখা। মানিক আমায় একগাল হেসে অভ্যর্থনা করলে। ঐ একটি ছেলের কাছ থেকেই একেবারে আন্তরিকতার সঙ্গে কথা হলো। একে একে সব স্মৃতিরা বেঁচে উঠতে লাগলো। হ্যা ঐখানটাতে মেঝের উপর আমি প্রায়ই মাদুর পেতে শুতাম।ব্লকে গেলেই কম্পিউটার রুমের ঐ জায়গাটি আমার খুব প্রিয় ছিল।সেই মাদুরটা দেখছি এখনো আছে।কিন্তু মেঝে শোয়ার সেই মানসিকতা আর হলো না।
আমার মনের অলিতে গলিতে এখনো দেখতে পাই সেই দিনগুলির ছবি। এখনো মনে হয় বি ডিও অফিসটা আগের মতোই ব্যস্ত আছে। এখন হয়তো আছে। কিন্তু বড্ড বেশী নিয়ম তান্ত্রিক।বড্ড বেশী যান্ত্রিক।কুল্পীতে এখন সেন রাজত্ব চলছে। বড্ড কড়া প্রশাসক। পান থেকে চুন খসলেই মহাবিপদ।পুলকের জায়গায় বসে আছে নির্মাল্য। আর বি আই ওর চেয়ারে বসে আছে ডি ই ও। ওরা আমার সঙ্গে কথা বললো। ডি ই ও ছেলেটি মন্দ হয়। আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। অতীতের স্মৃতিতে হারিয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ মানিকের ডাকে সম্বিত ফিরে পেলাম। ও জিজ্ঞাসা করলো,"আজ কি মনে করে দাদা"? আমি বললাম যে আমার প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের টাকা বাকী পড়ে আছে। সেটা নাকি এবার দেবে। তাই ওটার জন্য অ্যাপ্লিকেশন করতে এসেছি। এর পর মানিকের সঙ্গে অনেক কথা হলো। আধাঘন্টা ওখানে কাটিয়ে তিনতলায় গেলাম বিল ক্লার্কের সঙ্গে দেখা করতে। উপরে গিয়ে দেখি তপনদার জায়গায় বসে আছেন সুপ্রিয়দা।তা আমি উনার কাছে যেতে উনি বসতে বললেন। আমি বসলাম। সুপ্রিয়দা মোবাইলে কথা বলেই চলেছেন। কেউ মনে হয় উনার কাছে আসতে চান। ফোনে তাকে রুট ডিকটেশন করছেন।
আমি আবার অতীতে হারিয়ে গেলাম। এই টেবিলের সামনে বসে কতরকম যে আলোচনা হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। তপনদা মানুষটা বেশ মন্দ ছিলেন না। বেশ আমুদে এবং রসিক লোক ছিলেন। নিজের কাজটি খুব নিপুনতার সঙ্গে করতেন। তবে প্রত্যেকটা মানুষের মতো উনারও কিছু দোষ ত্রুটি ছিল।ওগুলো বাদ দিলে মানুষটা বেশ মন্দ নয়। একবার আমি সবেমাত্র অফিসে গেছি। আমায় হিমাংশু বললো, "দেখ তারা,(আমরা বাল্যবন্ধু ছিলাম। ও আমাকে সবসময় ওভাবেই ডাকতো) আজ তপন পাল আর স্যারের মধ্যে কথাবার্তা শোন।আমি আগ্রহসহ বললাম," বল কি হয়েছে"।
একগাদা লোকের সামনে তপন পালকে স্যার বলছেন," পালবাবু, শুনলাম আজকাল আপনি খুব হোটেলে খাচ্ছেন"? পালবাবু: আপনি ঠিকই শুনেছেন স্যার। সব সময় বাড়ির রান্না মুখে রোচে না। তাই মাঝে মাঝে হোটেলে খাই। আপনিও স্যার চেষ্টা করবেন মাঝে সাঝে হোটেলে খেতে। দেখবেন বেশ ভালো লাগবে। স্যার বললেন: না না পালবাবু, আমার হোটেলে খাওয়ার স্বভাব নেই।সে আপনি খাচ্ছেন খান। কিন্তু বিপদে পড়লে তখন কিন্তু আমার সুপারিশ পাবেন না। এই ঘটনাটি ঘটেছিল সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু যেহেতু ঘটনাটি আমি চাক্ষুষ করিনি তাই ঘটনার "তিলকে তাল "করা হয়েছে কিনা বলতে পারবো না। সুপ্রিয়দার কথায় আমার অতীত স্মৃতি মুছে গেল। আমি উনার সঙ্গে কাজকর্ম সেরে উঠে পড়লাম। টেবিল ছাড়ার আগে একঝলক পূর্বদিকে তাকাতেই আমার দিলীপের টেবিলটা নজরে এলো।
দিলীপ এস এইচ জি গ্রুপের কাজ সংক্রান্ত ক্লার্ক ছিল। বেশ ভালো ছেলে। খুব মিষ্টি ব্যবহার এবং সবাইকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতো। কিন্তু ওর সঙ্গে আমার এমন একটা ঘটনা ঘটেছে যা আজও ভুলতে পারি না।আমি এখনো বিশ্বাস করি যে আমি ঐ সময় ঠিক কাজই করেছি। আচ্ছা আপনারা বিচার করুন তো আমি কাজটা ঠিক করেছি না ভুল করেছি। তাহলে ঘটনাটি খুলে বলা যাক।
২০১৪ লোকসভা ভোটের আগে খুব সম্ভব দুর্গাপুজার পর এস আর ই আর এর কাজ চলছিল অর্থাৎ ভোটার লিষ্ট আপডেটেশানের কাজ। স্যার মানে পন্ডাসাহেব নিজে থেকে প্রত্যেকট জি পি'র জন্য হিয়ারিং অফিসারদের টিম বানিয়ে দিতেন। তো সেবার আমি পড়েছিলাম রাহাবাবুর টিমে। রাহাবাবু ছিলেন এ ই আর ও এবং ঐ টিমের হেড। হিয়ারিং এর সময় কোন হিয়ারিং সংক্রান্ত সমস্যা হলে উনি তার সমাধানের দায়িত্ব নেবেন।তো ঐ টিমে দিলীপভাই মানে দিলীপ সাঁপুইও ছিল এবং ও আমার রুমে বসেছিল। হিয়ারিং জি পি ছিল রাজারামপুর জি পি এবং হিয়ারিং ভেনু ছিল রাজারামপুর হাইস্কুল।আমি আর দিলীপ একটি রুমের দু'টি জানালাতে দু'জনে বসেছি।হিয়ারিং এর কাজ শুরু হয়েছে। আমার বুথে সংযোজন, সংশোধন ও স্থানান্তরকরনের সংখ্যা কম থাকায় আমায় টেবিলে মানুষের লাইন কম। কিন্তু দিলীপ ভাইয়ের টেবিলে সংশোধন, সংযোজন ও স্থানান্তর করনের সংখ্যা অনেক বেশী হওয়ায় লাইনে মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী। কাজ চলাকালীন একসময় দেখি কয়েকজন ষন্ডামার্কা লোক দিলীপকে ঘিরে ধরেছে এবং উত্তেজিতভাবে বাক্যালাপ করছে। তারপরের ঘটনা আরো নিন্দনীয়। দেখলাম, লোকগুলো দিলীপের জামার কলার ধরে ঘুঁসি মারতে উদ্দত।তারপর আমার আর দেখা হয়ে ওঠে নি। ততক্ষনে দিলীপকে লোকজন ঘিরে থাকায় আর কি হয়েছে চাক্ষুষ করতে পারি না।
এইবার শুরু হলো গন্ডগোল। প্রায় সব কাউন্টারগুলোতে হিয়ারিং বন্ধ করে দেওয়া হলো।হামলাকারীরা বললো'-আগে দিলীপের বিচার হবে, তারপরে হিয়ারিং হবে। তাহলে দিলীপের অপরাধ কি? আমি জানার জন্য যেই ওর টেবিলের দিকে পা বাড়িয়েছি, অমনি আমার টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি বললেন,"আপনি চলে গেলে টেবিলের কোন কাগজপত্র পাবেন না কিন্তু। ওরে বাবা! সে যে আরো বিপদ। তখন মনে মনে ভাবলাম, গন্ডগোল হয়েছে সে তো সবাই জানে। কেউ আসছে না কেন? অবশ্য ভিড়ের মাঝে কে এসেছে না এসেছে কিছু বুঝতে পারছি না।শেষে ঠিক করলাম যে না আমি টেবিল ছেড়ে যাবো না। কারন টেবিল ছেড়ে গেলে আমাকে ফাইলগুলো সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। সেটা সম্ভব নয়। আবার রেখে গেলে কেউ যদি নিয়ে পালায়, তাহলে আমি আর ঐ ফর্মগুলো পাবো না। তখন আমার সার্ভস নিয়ে টানাটানি পড়বে। তখন ক্ষুদিরাম হওয়ার আশা ত্যাগ করলাম।
এই ঘটনা ঘটনার পর স্যার অর্থাৎ পণ্ডাসাহেবকে ফোনে জানিয়ে বলা হলো পুলিস পাঠাতে। কারণ ততক্ষনে স্কুলমাঠ একেবারে সমাজবিরোধীদের দখলে চলে গেছে এবং সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দিলীপভাই।__স্যারকে জানানো হয়েছে পুরো বিষয়টি। তিনি শুধু বললেন- আমি দেখছি।তারপর আরও আধাঘন্টা কাটার পর দেখাগেল সমাজবিরধীরা আপনা আপনি সরে গেল ম্যাজিকের মতো। কাজ শেষ করে অফিসে আসার পর আমাদের সহায়ক সমিতির সম্পাদক ও সভাপতি যথাক্রমে হিমাংশু মন্ডল আর উমাশঙ্কর দলপতি দিলীপকে নিয়ে স্যারের চেম্বারে গেলেন। সঙ্গে গেলাম আমি,দিপঙ্কর,নকুল,সুধন্যদা এবং আরও অনেকে।
উমা শুরুটা করলে। ও বললো, - দিলীপ, রাজারামপুরে হিয়ারিং এ কি হয়েছে একটু স্যারকে শোনাও তো? দিলীপভাই সব বললো এবং বলতে গিয়ে কেঁদেই ফেললো। তার বক্তব্যের সঙ্গে একথাও বললো যে তাকে হেনস্থা করার সময় কোন স্টাফ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে নি। সে আরও খেদোক্তি করে বললো, -" আমি অন্তত তারাদার কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা করেছিলাম, যে উনি আমাকে বিপদে সাহায্য করবেন। উনি তো ঐ সময় কিছু করেন নি। এখানেও কিছু বলছেন না।"
আমি বাকরুদ্ধ হলাম। বিপদের সময় আমি দিলীপকে সাহায্য করতে পারি নি।কারন হঠাৎ কিছু সীমাবদ্ধতা তৈরী হয়েছিল এবং আমি দিলীপকে সাহায্য করতে গেলে শুধু ওর সহানুভুতি পেতাম ঠিক, কিন্তু আমাকে হয়তো অনেকবেশী মুল্য চুকাতে হতো। তা বিপদের সময় যে মানুষটাকে আমি সাহায্য করতে পারিনি, সাহেবের সামনে বেশী চেঁচামেচি করা খুব বাহাদুরি বা শোভনীয় হবে না আমি চুপ করেই রইলাম। আমাকে নিয়ে একটা গুঞ্জন তৈরী হলো। কি জানি আমাকে ভালোবাসে বলেই হোক, কিংবা বাল্যবন্ধু বলেই হোক উমা আর হিমাংশু কিছু বললো না। শুধু তারা এটুকু বললো," কর্মচারীর উচিত প্রত্যেকটি কর্মচারীর বিপদে পাশে থাকা, তাকে সাহায্য করা। কেউ যদি তা না করে তাহলে তার পাশেও কেউ থাকবে না।"সালা কিছু না বলে সব বলে দিল! আমি বোকার মতো অপরাধীর মতো মাথা নত করে বসে রইলাম। যুক্তি বলছে আমি ঠিক কাজ করি নি। কিন্তু মন বলছে আমি ঠিক কাজ করেছি।কারন এটা নির্বাচনের কাজ। এদিক ওদিক হলেই কোন উত্তর দিতে পারবো না। তখন কোন ইউনিয়ন টিকবে না। চাকরিতে যদি একটি প্রশ্নচিহ্ন পড়ে তখন বালবাচ্চাকে মানুষ করবো কিভাবে।
উমা স্যারকে বললো," গন্ডগোলের খবর পাওয়ার পর আপনি কি ব্যবস্থা নিয়েছেন জানাবেন কি? ঐ জি পি সংবেদনশীল এটা আপনি আগে থেকেই জানতেন। তাহলে আগে থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি কেন"? উত্তরে স্যার বললেন,"আমি সব সময় মানুষের মনুষত্ত্বকে বিশ্বাস করি। আর শক্তি বা বলপ্রয়োগ করে কখনো কোন সমস্যার সমাধান করা যায় না।আমি আশা করেছিলাম ওখানকার মানুষের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। কিন্তু তা হয় নি। গন্ডগোল হয়েছিল এবং তার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিসি ব্যবস্থা না নিয়ে রাজনৈতিকভাবে তার মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছি এবং তাতে সুফল মিলেছে।দিলীপের হেনস্থা হয়েছে মানছি। এই হেনস্থা কনোমতেই কাম্য নয়।এর জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দু:খিত। এই ব্যাপারটাতে আমি এখনো কোনো আইনি ব্যবস্থা নেই নি। কারন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আগে অবশ্যই দিলীপের অনুমোদন লাগবে। অনুমোদন দিলে এফ আই আর ইত্যাদির ব্যবস্থা নেওয়া যাবে"।
এর পরে আর কি হয়েছিল আমার ঠিক জানা নেই। তবে দিলীপ আমায় একবার কথাপ্রসঙ্গে বলেছিল, যে সমস্যাটি নাকি মিটে গেছে। যে ব্যক্তি হেনস্থা করেছিল সে নাকি দিলীপের কাছে এসে ক্ষমা চেয়ে গিয়েছিল।যদি এটা তাই হয়, তাহলে কেন লোকটি এসে ক্ষমা চেয়ে গেল, তাও আমার বোঝা হয়ে গেল।
এবার একটু তাত্ত্বিক আলোচনা করা যাক।সমাজে কোন কিছু অন্যায় হলে তার প্রতিবাদ হওয়া দরকার। প্রতিবাদ না করলে সমাজে সুশাসন বলে কিছু থাকবে না। সেই হিসাবে দিলীপের হেনস্থা হওয়ার সময় আমারও ওর পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল। কিন্তু প্রতিবাদ তখনই করা উচিত, যখন পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে। পুলিশ যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে না পারে, তাহলে প্রতিবাদ করা বৃথা।সাধারনত হেনস্থাকারীরা কোন সাহসে হেনস্থা করতে সাহস পায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।এর আগে ২০০৯ সাল নাগাদ সুধন্যদার উপর বা শৈলেনদার উপর দৈহিক হেনস্থা করা হয়েছিল। আমাদের সংগঠন অনেক প্রতিবাদ করেছিল। মনে হয় কাজের কাজ কিছু হয় নি। দিলীপের কাছে তবু হেনস্থাকারী ক্ষমা চেয়ে গেছে। মনে হয় উনাদের বেলা তাও হয় নি।সেক্ষেত্রে স্যার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে সরষে দিয়ে ভূত ছাড়ানো যাবে না। কারণ সরষেতে ভূত লুকিয়ে আছে। তাই বুদ্ধিমানের মতো ভূতের রাজার সঙ্গে আলোচনা করতেই সমাধানের সুত্র বেরিয়ে আসে এবং ভূত ছেড়ে পালায়। উনি যদি সরষে প্রয়োগ করতেন তাহলে সরষের তেল থেকে আগুন বেরিয়ে সবকিছুকে জ্বালিয়ে দিতো। আর সেই আগুন নেভাতে কলকাতা থেকে দমকল বাহিনীকে ডাকতে হতো। তারপরে মিডিয়া, টিভি, এস ডি ও, ডি এম, মন্ত্রী কত কি যে হতে পারতো তার ঠিক নেই। স্যার যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমি তখন তা বুঝতে পেরেছিলাম। কিন্তু বলতে পারি নি। কারন এক সংগঠনের ভয়ে, আর আমার অন্তর্মুখীন প্রকৃতি।আজও আমি আমার এই স্বভাব থেকে বেরোতে পারি নি। আমি অনেককিছু বুঝি, কিন্তু ঠিকমতো প্রকাশ করতে পারি না।এক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল।
যাইহোক, দিলীপের সঙ্গে আমার কথাবার্তা পরে স্বাভাবিক হয়ে গেছে, কিন্তু আমার মনে হয় ও আজও আমায় ক্ষমা করতে পারে নি।
পুরানো সুখ দু:খের কথা ভাবতে ভাবতে সিড়ি দিয়ে নীচে নেমে এলাম। দুপুরের লাভাতপ্ত রৌদ্রালোকে নিজেকে উত্তপ্ত করতে করতে সবুজ মাঠ পার হয়ে জাতীয় সড়কে এসে দাঁড়ালাম।আসার সময় একখানা সেলফি নেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। তারপর নামখানাগামী একটি বাসে উঠে পড়লাম।
তারাপদ মাঝি
১৪/০৬/১৮
দেবনগর।

কোন মন্তব্য নেই

গল্প বা কবিতা কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না

Blogger দ্বারা পরিচালিত.