গুজবে গু এর গন্ধ



গুজবে গু এর গন্ধ

নমস্কার মহোদয়গন। আপনারা সমাজের গন্যমান্য ব্যাক্তি। আমি হইলাম নগন্য ব্যক্তি। তা আপনাদের নমস্কার না করিয়া কথা কি বলিতে পারি! তাই পুনশ্চ ষাষ্ঠাঙ্গে নমস্কার জানাইয়া "গুজবের গু" লইয়া আলোচনা করিতে উদ্দোগী হইতেছি।গুজব আমাদের অনেক ক্ষতি করিয়া থাকে।। তাই গুজবে আদৌ কাণ দেওয়া উচিত নয়।কান যে দেওয়া উচিত নয় তাহা আমি কিছু কাল্পনিক উদাহরন সহ আলোচনা করিব,গুজব সম্পর্কে আমার কি রকম ধারনা রহিয়াছে। আমি শুধু গুজবের গু টুকুই জানি এবং তাহা যথাসম্ভব আপনাদের নিকট ব্যাখ্যা করিতেছি।
কথায় কথায় আমার পরিচয়খানা প্রদান করিতে বিস্মৃত হইয়াছি। সর্বাগ্রে পরিচয় প্রদান করা আবশ্যক। আমি হইলাম অজিতেস মান্না। নিবাস নফরগড়। থানা সাহেবনগর। জাতিতে নাপিত। পেশা ক্ষৌরকর্ম, পূজার্চনা এবং বিবাহ শ্রাদ্ধশান্তিতে পুরোহিত মহাশয়কে সাহায্য প্রদান করা। ইহা আমার বংশগত পেশা। কিন্তু উক্ত পেশায় আমি সন্তুষ্ট নই বলিয়া বহু কষ্টে পড়াশুনা করিয়া বর্তমানে সরকারী চাকুরী করিতেছি। কিন্তু বংশের পেশা পরিত্যাগ করি নাই। তাই পাড়ার লোকেরা বলিয়া থাকেন আমি নাকি গাছেরও খাইতেছি আবার তলারও কুড়াইতেছি। তাই আমি নাকি টাকার গদীতে শয়ন করিতেছি। প্রথম কথাটি সত্য হইলেও শেষ কথাটি কখনো সত্য নহে। ইহা এক প্রকার গুজব বলিয়া ধরিতে পারেন। তাই গুজব লইয়া আমার যে সামান্য জ্ঞান রহিয়াছে এবং সারাজীবনে কর্মস্থল হইতে যে সকল জ্ঞান আহরণ করিয়াছি, তাহা হইতে গুজব সম্পর্কে দু'চার কথা বলিতে পারি।
যাহাই হউক ধান ভাঙিতে গিয়া অনেক শিবের গান গাহিয়াছি। এখন "গুজবের গু "কি তাহার বিস্তারিত বিবরন প্রদান করা প্রয়োজন। তাহা না বুঝিলে গন্ধ বুঝাইতে মুশকিল হইবে। গুজব হইল মিথ্যা খবর বা তথ্য প্রচার ।সে ভালো তথ্য হইতে পারে বা খারাপ তথ্য হইতে পারে।তবে অভিজ্ঞতা হইতে দেখিয়াছি খারাপ গুজব খুব দ্রুত ছড়াইয়া পড়ে এবং তাহার প্রভাব হইয়া থাকে দীর্ঘস্থায়ী। কিন্তু ভালো গুজব বিস্তারলাভ করিয়া থাকে খুব মন্থর গতিতে এবং একসময় তাহা লুপ্ত হইয়া যায়। কিন্তু খারাপ গুজব কখনো আপনা আপনি লুপ্ত হয় আবার কখনো লুপ্ত করিতে হইলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আর একপ্রকার গুজব আছে যাহা উক্ত দুই গুজবের মধ্যবর্তী। প্রথম দুই গুজব সাকার কিন্তু মধ্যবর্তী গুজব নিরাকার। ইহার অস্তিত্ব না থাকিয়াও অস্তীত্ব থাকে এবং সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী সেই অস্তীত্ব। মধ্যবর্তী গুজব মধ্যবর্তী বলিয়া ইহাতে সুগন্ধ ও দুর্গন্ধ যে কোন একটি বা দ'টিই হইতে পারে।
এতক্ষন ধরিয়া তত্ব ,যাহাকে পাশ্চাত্য ভাষায় থিয়োরি বলিয়া থাকে ,তাহাই প্রদান করিলাম। এইবার উদাহরন দিয়া বোঝাইবার চেষ্টা করিতেছি। প্রথমে ভালো গুজব লইয়া আলোচনা করিব।ভালো গুজবের তথ্যগুলো ভালো ভালো হইয়া থাকে এবং সেই তথ্যের বাস্তব রুপও রহিয়াছে।অর্থাৎ ভালো গুজব একসময় সত্য বলিয়া প্রমানীত হয়। যেমন ধরুন রবি ঠাকুরের নোবেল প্রাইজ পাইবার খবর। তৎকালিন সময়ে সংবাদ ব্যবস্থা এখনকার দিনের মতো উন্নত ছিলো না। ফলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন নোবেল পুরস্কার পাইল ,তাহা প্রথমে কলকাতার লোক জানিল। সেখান হইতে দেশে গুজবের মাধ্যমে আস্তে আস্তে ছড়াইতে শুরু করিল।প্রথমে এই গুজবকে কেউ বলিল সত্য আবার কেউ বলিল মিথ্যা। অবশেষে যেদিন রবীন্দ্রনাথ নোবেল লইয়া শান্তিনিকেতনে পৌছাইলেন, সেদিন সত্য বলিয়া প্রমানিত হইল এবং গুজবটি চিরদিনের জন্য সমাপ্ত হইয়া গেল।এক্ষনে" গুজবের গু" অর্থাৎ বিষ্ঠা অর্থাৎ নোবেল পাইবার খবর ভালো। তাই ইহার গন্ধটিও ভালো।তাই ইহা ভালো গুজব বলিয়া মান্য করিতে হইবে।
পাবলিকের বিচিত্র চরিত্র মশাই। কিছুতেই ভালো গুজবকে সত্য বলিয়া মানিতে চায় না। ভালোগুজবকে খুব ভালো করিয়া স্যাকরার মতো কষ্টি পাথরে ঘষিয়া ঘষিয়া পরখ করিয়া দেখে এবং তার পরে বাধ্য হইয়া সত্য বলিয়া মানিয়া লয়। অথচ খারাপ গুজব শুনিবামাত্র সত্য বলিয়া স্বীকার করিতে কুন্ঠিত হয় না। যেমন ধরুন আমি যখন সরকারী চাকুরী পাইলাম, তখন আমার নফরগড়ে সেই গুজব ছড়াইয়া পড়িল। কেউ সেই গুজব বিশ্বাস করিতে চাহে না।কেউ আমাকে রাস্তায় দাঁড় করাইয়া আমার চাকুরির খবর গুজব কিনা জানিতে চাহিয়াছিল। আমি সত্য বলিয়া স্বীকার করিলেও তাহাদের সত্য বলিয়া স্বীকার করিতে কষ্ট হইয়াছিল।তাহারা আমাকে উৎকোচ দিয়া চাকুরি লইয়াছি কিনা প্রশ্ন করিতে থাকে। আমি না বলাতে তাহারা চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া আমাকে অবলোকন করিতে থাকে।তাহারপর বিনা বাক্যে চলিয়া যায়।আমার এই ঘটনাটি হইল ভালো গুজব।তাই কেউ স্বীকার করিতে চাহে না।এই গুজবের গন্ধ ভালো। কিন্তু ছড়াইতে দেরি করিল।
ভালো গুজব কি এবং তাহা যে সুগন্ধে ভরা এতক্ষনে বোধয় বুঝাইতে সক্ষম হইয়াছি। ইহা যদি অন্য প্রকার হইয়া থাকে কিংবা অন্যরুপে ধরনীতে বিরাজমান থাকে তাহা হইলে আমাকে জানাইতে ভুলিবেন না। এইবার আমি খারাপ গুজব লইয়া আলোচনা করিব এবং তাহা কতদ্রুত ছড়াইয়া পড়ে এবং তাহার গন্ধ যে কতখানি খারাপ হয় তাহার উদাহরন দিয়া বলিতেছি।
আমি তখন পিকলু ব্লকে কাজ করিয়া থাকি। আমাদের বি ডি ও ছিলেন সত্যব্রত পন্ডা মহাশয়। অত্যন্ত বিচক্ষন এবং দক্ষ প্রশাসক। জাতিতে ব্রাক্ষ্মন। হিন্দু সমাজে এই জাতটির একটি বিশেষ কৌলিন্য রহিয়াছে। যদিও অনেকে বলিয়া থাকেন যে" লাখ টাকার বামুন ভিখারী"। তবুও এই জাতটিই আজও অবধি হিন্দু সমাজকে শাসন করিয়া আসিতেছে। শুদ্র জাতি বর্তমানে অনেক উন্নত হইয়াও শাসনের চক্র নিজ করায়ত্ত করিতে সক্ষম হয় নাই। এখনো তাহারা রক্ষন ব্যবস্থায় বন্দি হইয়া রহিয়াছে। অবশ্য ইহাতে শুদ্র জাতির কোন দুঃখ পাইবার কারন নাই। কারন স্বয়ং ভগবান ব্রাক্ষ্মন জাতিকে আপন করিয়া লইয়াছেন। হিন্দুরা যাহাদেরকে ভগবান বলিয়া মান্য করিয়া থাকেন তাহার সবাই উচ্চ বংশের গর্ভ পছন্দ করিয়াছেন। কোন নীচ বংশের গর্ভ পছন্দ করেন নাই।যেমন শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভু, শ্রীরামকৃষ্ণ, ভগবান বুদ্ধ ,শ্রীরামচন্দ্র ইত্যাদি অবতারগন। সমাজের সমস্ত খ্যাতনামা ব্যক্তিরাও ব্রাক্ষ্মন বংশোদ্ভুত। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, মমতা ব্যানার্জী, আশুতোষ মুখোপাধ্যায়… ……. ,না মশাই আবার ধান ভাঙতে শিবের গীত হইয়া যাইতেছে। অন্য সময়ে এই জাতি সংক্রান্ত আলোচইনা করা যাইবে। এক্ষনে খারাপ গুজব লইয়া আলোচনা করিব। যাহাই হউক, সেই সত্যব্রতবাবুর সময় তাহার শাসনাধীন সময়ে গুজব রটিল যে পাকুড়তলা গ্রামে একখানি পুকুর রহিয়াছে যাহাতে স্নান করিলে মানুষ সমুহ রোগ হইতে মুক্তি পাইবে। অবশ্য পুকুরপাড় স্থিত দেব মন্দিরে পূজা করিতে হইবে। গুজব রটিয়াছিল বর্ষাকালে। কিন্তু এই গুজব এত ঝড়ের বেগে ছুটিল যে চারিদিক হইতে মানুষ নিরোগ হইবার লোভে ওই পুকুরে স্নানের জন্য ছুটিল। কেহ পালকি করিয়া, কেহ গাড়ি লইয়া, কেহ বাইক লইয়া, কেহ মেসিন ভ্যানে চড়িয়া পুকুরে স্নান করিতে আসিল। মুল রাস্তা হইতে পুকুরে যাইবার একখানি রাস্তা যাহার দৈর্ঘ্য আনুমানিকবার কিলোমিটার এবং ইহা সাধারন ইটপাতা আটফিট চওড়া রাস্তা ছিল। এত যানবাহনের চাপে সে রাস্তা টিকিল না। একদিন একটি অটো গাড়ি প্রায় সাতজন যাত্রী লইয়া রাস্তা হইতে পিছলাইয়া উল্টাইয়া গেল। একজন মরিল এবং বাকিজন মারাত্বক জখম হইয়া পিকলু হাতসপাতালে ভর্তি হইল।
এই সব প্রশাসন সহ্য করিতে পারিল না।ডি এম এর নির্দেশ আসিল উপযুক্ত ব্যবস্থা লইতে। এইবার সত্যব্রতবাবু আমাকে লইয়া অকুস্থলে পৌছিলেন।অকুস্থল দেখিয়া পন্ডাবাবুর নেত্র বিস্ফারিত হইয়া গেল।আমি মুহ্যমান হইয়া গেলাম। ষাটফিট বাই তিরিশ ফিট পুকুরে এত মানুষ স্নান করিয়াছে যে তাহার জল আর জল নাই। জল আর কাদা মিশ্রিত হইয়া তরল পঙ্কে পরিনত হইয়াছে। কতজন সুস্থ হইয়াছে জানা নেই, কিন্তু কত জনের যে অসুস্থতা গোপন রহিয়াছে তাহার হিসাব নাই।
পন্ডাবাবু একজনকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন যে পুকুরে স্নান করিলে সত্যি রোগ ব্যাধি সারে কিনা।কিন্তু তিনি সদুত্তর পাননি। সকলে বলিয়াছিল রোগ ব্যাধি সারাটা আসল ব্যাপার নয়। বিশ্বাসটা বড় কথা।ঈশ্বরে বিশ্বাস থাকিলে সব রোগ ব্যাধি এই পুকুরে স্নান করিলে সারিয়া যাইবে।বিশ্বাস না থাকিলে কিছুই হইবে না। যাহাই হউক পন্ডাসাহেব লোক লাগাইয়া পুকুরে বেড়া দিয়া এইসব স্নান বন্ধ করিয়া দিলেন।পরে আপনা আপনি স্নান বন্ধ হইয়া যায়। এই গুজবে কাহারও মঙ্গল হয় নাই। এর গু এর গন্ধ অত্যন্ত খারাপ কিন্তু তাহা তীব্র বেগে ছুটিয়াছিল।
একবার আমাদের নফরগড় হইতে দুই কিলোমিটার দূরে বক্সিগঞ্জে খুব সস্তায় ইলিশ মাছ বিক্রয় হইতেছে বলিয়া গুজব রটিয়াছিল। গুজবে প্রকাশ হইল যে বক্সিগঞ্জে দুই কিলোগ্রাম সাইজ ইলিশমাছ কিলোপ্রতি একশত টাকা দরে বিক্রয় হইতেছে। যেখানে ওই সাইজের মাছ কিলোপ্রতি চারশত টাকা দরে বিক্রয় হইয়া থাকে তাহা কি করিয়া একশত টাকা দরে বিক্রয় হয় তাহা আমার বোধগম্য হইল না। অগত্যা নিজে পরখ করিয়া দেখিবার জন্য বক্সিগঞ্জ যাত্রা করিলাম। সাক্ষাতে গিয়া দেখিলাম তথায় ইলিশ মাছের আঁসের খোঁজও পাইলাম না।লোকের মুখে শুনিলাম এক জেলে বক্সিগঞ্জের নদীতে জাল দিয়া একখানা এককিলোগ্রাম সাইজের ইলিশমাছ ধরিয়াছিল। বোকা জেলে তাহাই একজনকে একশত টাকা দামে বিক্রয় করিয়াছে। তাহাই কি করিয়া গুজব হইয়া দিকে দিকে ছড়াইয়া পড়িয়াছে।তাহার গন্ধে আমার মতো অনেক ক্রেতা বক্সিগঞ্জে উপস্থিত হইয়া নির্বুদ্ধিতার জন্য আপশোষ করিতেছে।
এইবার মধ্যবর্তী গুজব লইয়া আলোচনা করিব। এই গুজবের গু এর গন্ধ কোন দিন লুপ্ত হয় না।সেই গন্ধের স্বাদ মুখে মুখে প্রজন্ম হইতে প্রজন্মে সঞ্চারিত হইয়া থাকে।আমাদের পিকলু ব্লকে মির্জাপুর নামে গ্রামপঞ্চায়েত ছিল। সেই পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন আলাউদ্দিন খলজি। তিনি নাকি ভুয়ো জবকার্ডে প্রচুর টাকা আত্মস্বাদ করিতেছেন বলিয়া আলাউদ্দিনের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মহম্মদ বিন কাসিম পন্ডা সাহেবের নিকট অভিযোগ করিল। আমরা এই খবর পাইয়া গুজব বলিয়া বিশ্বাস করিলাম না। ইহাতে পন্ডাবাবু একটি নামমাত্র তদন্ত করিয়া ছাড়িয়া দিতে পারিতেন। কিন্তু তিনি তাহা না করিয়া পঞ্চায়েতের ইঞ্জিনিয়ার , নির্বাহী সহায়ক আর প্রধানকে শো-কজ করিয়া বসিল।তাহার পর অনেক জল ঘোলা হইল। তছরুপের আবেদন খারিজ হইয়া গেল। কিন্তু গুজব রটিয়া গেল যে টাকা অনেক তছরুপ হইয়াছিল। কিন্তু পন্ডাবাবু সেসব তছরুপ কারীদের নামমাত্র ভাগ দিয়া বাকিটা নিজেই আত্মস্বাদ করিয়াছেন।অথচ আপাদ মস্তক পন্ডাবাবু সজ্জন ব্যাক্তি। তথাপি তাহার সম্বন্ধে গুজবের গু এর গন্ধ রহিয়া গেল।যাহার অস্তীত্ব নেই এবং প্রমানও নেই।
পন্ডাবাবু তার অফিসের দুইজন অফিসারকে খুব ভালোবাসিতেন। একজন হইল আনন্দ করশর্মা এবং অপরজন হইল বৃষ্টিনাথ বসু। প্রথমজন হইল ডাটা এনট্রি অপারেটর এবং অপরজন হইলেন কম্পিউটার অ্যাসিস্ট্যান্ট । একদিন গুজবে শুনিলাম ওই দুইজন হইলো পন্ডাসাহেবের টাকা রোজগারের মেসিন। উহারা পঞ্চায়েত হইতে বিভিন্ন পন্থায় প্রধানের নিকট হইতে কমিশন আদায় করিয়া থাকেন এবং তাহার পর তাহা বি ডি ও সাহেব সত্যব্রতবাবুর হাতে পৌছায়া দেন। ইহা নিহাতই একটি গুজব। এর গু এর গন্ধ খুব তীব্র। কিন্তু ইহার কোন প্রকার অস্তীত্ব নাই।সুতরাং প্রমানও নাই।কিন্তু এই গুজবের গু এর গন্ধ আজও মানুষের মুখে মুখে ঘুরিয়া ফিরিতেছে। সবচেয়ে বেশীঘুরিয়া থাকে ব্লক স্তরের কর্মীদের মধ্যে।
তাই বলিতেছি গুজবে গু এর গন্ধ বড় সাঙ্ঘাতিক। একে অবহেলা করবেন না।এই গুজব প্রানঘাতি। তাই গুজবে কান দেবেন না বা গুজব ছড়াইবেন না।আমার এই রম্যরচনার উদ্দেশ্য কিন্তু গুজব ছড়াইবার জন্য নহে। গুজব সম্পর্কে মানুষের ভুল ধারনাকে খন্ডন করিবার জন্য আমার এই প্রয়াস। প্রিয় পাঠকগনকে নমস্কার জানিয়ে এখানেই গুজবে গু এর গন্ধ শেষ করলাম। সকলে ভালো থাকিবেন।
(বিঃদ্রঃ-উপরের ইতিহাস সত্য কাহিনী ছাড়া বাকি কাহিনীগুলির বাস্তবিক কোন অস্তীত্ব নেই। “গুজব” কে বোঝাতে গিয়ে কাল্পনিক চরিত্রের অবতারনা করা হয়েছে।ফলে চরিত্রগুলি সম্পুর্ন মিথ্যা।বাস্তবে চরিত্রগুলির কোন অস্তীত্ব নেই।সুতরাং কাহারও চরিত্রের সঙ্গে যদি মিলে যায় তাহলে তা হবে সম্পুর্নভাবে কাকতালীয়। এবং সেই জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি)
দেবনগর
নামখানা
১৩/০৭/২১

কোন মন্তব্য নেই

গল্প বা কবিতা কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না

Blogger দ্বারা পরিচালিত.