#হারিয়ে_যাওয়া_দিনগুলি

অফিস ছুটি।
বড় ইচ্ছে করে হারিয়ে যেতে দূরে বহু দূরে,
যেখানে নীলাকাশ জড়িয়ে ধরেছে ধরিত্রীর সবুজ বসন,
যেখানে রত্নাকরের হাঁসির শব্দ লহরী হয়ে আছড়ে পড়ে
ধরিত্রীর রত্নখচিত শুভ্র বালুকাবেলায়।
বড় ইচ্ছে করে-
এমন জায়গায় হারিয়ে যাই
যেখানে পাই পয়সা হিসেব কষার কোন বালাই নেই,
তথ্য নেওয়ার কোন তদারকি কতৃপক্ষ নেই,
দলাদলির দড়ি টানাটানিতে জড়িয়ে পড়ার ভয় নেই,
সংসারের কোন ঝক্কি নেই,
অথচ মোটা ভাত কাপড়ের অভাব নেই।
বড় ইচ্ছে করে
সেই জায়গায় হারিয়ে যাই
যেখানে শিশুর মতো সারল্য আছে,
চোখ জুড়ানো প্রকৃতির রূপ আছে,
প্রকৃতির কোলে স্বর্গীয় সুখের উন্মাদনা আছে,
মখমলের মতো ধরণীর সবুজ গালিচা আছে,
আর আছে রবি বঙ্কিম শরৎ এর রাশি রাশি পুস্তক।
বড্ড মনে পড়ে সেই দিনগুলির কথা-
যখন সকাল সন্ধ্যা শুধু খেলেই কাটিয়ে দিতাম।
সকাল সন্ধ্যায় একটু পড়তে হতো বটে
কিন্তু খেলার ছলে সে সব ঠিকঠাক হয়ে যেত কোনভাবে।
দূগ্গা পূজার সময় মায়ের হাত ধরে বেরিয়ে যেতাম মেলায়,
দূগ্গা মাকে দেখে মনে হতো সে যেন আমার মায়ের মতো!
মায়ের মতো মা দূগ্গার পরণে ছিল লালপেড়ে সাদা শাড়ি।
দূগ্গা মা দশ ভূজে কি করতো জানি না,
কিন্তু আমার মা দ্বিভূজে কাজ করতেন দশভূজের মতো।
মেলা সেরে যখন বাড়ি ফিরতাম তখন বাবার কাঁধে ঘুমিয়ে কাদা।
সেই সুখের দিনগুলিকে তাড়িয়ে দিয়ে
অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে ধরেছে উৎকন্ঠার মুহুর্তগুলি।
সে কখনো সুখের মুহুর্ত আনে না,
শুধু কান্নায় ভরিয়ে জীবনকে করে তোলে দুর্বিসহ।
কপিরাইট@তারাপদ মাঝি
২৩শে অক্টোবর,২০২০
দেবনগর।

কোন মন্তব্য নেই

গল্প বা কবিতা কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না

Blogger দ্বারা পরিচালিত.