#বিস্ময়


#কবিতা
#তারাপদ মাঝি
সাগরখুড়ো যমের ডাকে দিলেন সাড়া,
ভোর রাতে যখন শুকতারার নিভে গেল আলো,
পাড়ার কুক্কুটের দল সমস্বরে গাইতে লাগলো
রাতের শেষ গান বা ঘুম ভাঙানোর গান,
তখন সাগরখুড়োর ডবকা বউটা
ভোরের নিস্তব্ধতা ভাঙিয়ে কেঁদে ওঠে হাউ হাউ করে।
সকলের ঘুম গেল ছুটে-
মুহূর্তে আঙিনা প্রতিবেশীর ভীড়ে গেল ভরে।
তখন জানা গেল
সুরাপ্রেমী, জুয়াপ্রেমী ভার্জা অত্যাচারী সাগরখুড়ো,
রাতে ঘুমের রাজ্যে ভ্রমন করতে করতে কখন যে
চিত্রগুপ্তের কাছে পৌছে গেছে কেউ জানে না।
খানিক পরে পাড়ার মাতব্বর নারী মোক্ষদা এলো।
বাড়ির ভিতরে গিয়ে সবাইকে শান্তনা দিল।
বললো-সাগরদা বড় ভালো লোক ছিল।
একটু সুরাসক্ত ছিল বটে,কিন্তু লোকটা ছিল খাঁটি।
আমাদের পার্টির কর্মী ছিলেন উনি।
তাই পার্টির সম্মান তাকে দিলাম।
মোক্ষদা পার্টির নিশান পরিয়ে দিল সাগর খুড়োর পরে।
এমন সময় কোথায় যে ছিল মেঘনাদ।
দু’চারজন সহযোগে ভীমনাদে স্লোগান তুলে
সাগর খুড়োর অঙ্গ হতে মোক্ষদার নিশান দিল খুলে।
সযতনে তার পার্টির নিশান খুড়ো অঙ্গে দিল ফেলে।
কাছে ছিল অভিরাম তিনি কি আর বশে থাকেন?
গলার উপবীত ধরি শিরের শিখা নাড়ি বলিলেন তিনি-
সাগর আমার দলেরই লোক, একটু মন্দ বলে দিলাম দূরে,
ভালো হোক বা মন্দ হোক, সাগর আমার দলেরই লোক।
গরবে ফুলিয়ে ছাতি, মেঘনাদের নিশান ফেলি
আপন পার্টির নিশান ফেলে দেয় সাগর শবের পরে।
তিন জনে গালাগালি, নিশান নিয়ে টানাটানি,
শবের দখল নেবে কে ?
মেঘনাদের লোকবল বেশী বলে
সাগরখুড়োর বউ গেল তার দলে।
সাগর পরিল মেঘনাদের পার্টির নিশান।
নির্বাচনের সময় বলে সাগরখুড়ো বড়ই মহান,
নির্বাচনেও শবদেহ হয়ে যায় জয়ের নিশান।
(এই কবিতাটি আমার প্রানের বন্ধু পলাশকে উৎসর্গ করলাম)
কপিরাইট@তারাপদ মাঝি
২রা মার্চ,২০২১
দেবনগর

কোন মন্তব্য নেই

গল্প বা কবিতা কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না

Blogger দ্বারা পরিচালিত.