#যমদূত_বার্তা

কদিন শরীরটা যাচ্ছিল না ভালো।
রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকলেও
লিপিড প্রোফাইল আর উচ্চ রক্তচাপ মাত্রা
অনেকটা ইতর বিশেষ হয়ে গেছে।
ইলেকশানের সময় কাজের চাপ একটু বেশী।
সেদিন ছিল শনিবার।
দোলপূর্নিমার ঠিক আগের দিন।
অফিস থেকে জানলাম শনিবার ছুটি।
আনন্দে দুপুরে মাছের ঝোলভাত খেয়ে
একটু গড়িয়ে নিলাম বিছানা।
বিকালে একটু বৈকালিক ভ্রমন সেরে
গুগুল গুরুর কাছে কিছু শিখতে বসে গেলাম।
রাত দশটায় ডালে ভাতে রাতের আহার শেষে
রাত্রির ঘুমে আচ্ছন্ন হলাম।
হঠাৎ ভোর রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়।
কারণ বুকের বাঁ দিকে মৃদু যন্ত্রনা!!
যন্ত্রনা ক্রমাগত বাড়ে।
আস্তে আস্তে সারা বুকে ছড়িয়ে পড়ে।
যন্ত্রনা আরও দৃঢ়তর হয়।
শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হতে থাকে।
ইতি মধ্যে অ্যাসিড আর প্রেসারের ওষুধ খাওয়া শেষ।
তবুও যন্ত্রনার উপসম নাই।
নাহ্ আর পারলাম না।
সারা শরীর ঘর্মজলে স্নাত হতেই
বিছানা নিলাম আবার।
এক সময় সে থামল।
ঘাম ঝরা বন্ধ হলো।
সে যাবার আগে বুকের উপর রেখে গেল
একখানা ভারী পাথর।
সকাল হলো।
ভাইপো এলো।
আমায় নিয়ে চললো কাকদ্বীপ হাসপাতাল।
ইসিজি করে জানালেন যে যমদূত এসেছিল
“হার্ট অ্যাটাকের” বেশে।
সে তার নিশান রেখে গেছে হৃদয়ের রক্ত ধমনীতে।
বলে গেছে-”তৈরী থেকো বাছা, সব কাজ সারো।
পরের বারে আর সময় পাবে না তুমি।”
মৃত্যু যন্ত্রনার ছবি এখনও মনে মনে আঁকি।
কপিরাইট@তারাপদ মাঝি
৫ই এপ্রিল, ২০২১
দেবনগর।

কোন মন্তব্য নেই

গল্প বা কবিতা কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না

Blogger দ্বারা পরিচালিত.