#বিচার

ওপাড়ার বিকাশ খুড়ো পেটের দায়ে
এপাড়ায় এসে রমেনবাবুর কলাকাঁদি করেছে চুরি।
এছাড়া উপায় ছিল না তার।
দু’দিন পোয়াতি বউটাকে কিছু খেতে দিতে পারে নি যে!
লকডাউনের বাজারে তেমন কাজ নেই।
এক’শ দিনের কাজ করেছিল কিছু দিন।
তখন তার ব্যাঙ্কে তিনহাজার টাকা দিয়ে
পার্টির নেতারা তার কাছ থেকে ফেরত নিয়েছিল
করকরে দু’টি পাঁচ’শ টাকার নোট।
তবু তখন ভালো চলেছিল।
দু’বেলা তবু নুন ভাত জুটেছিল।
এখন কাজ নেই।
সরকারী কর্মচারীর ভুলে এখনও পায়নি রেশন কার্ড।
নেতারা রেশন পাওয়ার জন্য কি একটা কগজ করে দিয়েছে।
তাতে রেশন মেলে ঠিকই
কিন্তু রেশনের অর্ধেকটা যায় নেতার বাড়িতে
তাদের কুকুর আর হাঁস মুরগী গরু ছাগলের জন্য।
এগুলো উপকারের উপঢৌকন হিসাবে।
ফলে প্রতিদিন আর হাঁড়ি চুলোয় বসে না।
তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে
বিকাশ চুরি করেছিল কলা কাঁদি।
ধরা পড়ে গেল সে।
পাড়ায় জমাটি বিচার বসে গেল।
সব রকম মানুষে ভরে গেল বিচার সভা।
যেন যিশুর শেষ বিচার।
নেতাদের চুরির বিচার হলো না।
বিচার হলো ভুভুক্ষু মানুষের বিচার।
অঙ্কুরে বিকাশকে শিক্ষা না দিলে
সে নাকি ভবিষ্যতে ‘ বিকাশ দুবে” হতে পারে।
কপিরাইট@তারাপদ মাঝি
দেবনগর নামখানা
১৪/০৭/২০২০

কোন মন্তব্য নেই

গল্প বা কবিতা কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না

Blogger দ্বারা পরিচালিত.