#অপূর্ন_প্রেম

তখন রাত ১২টা। ফেসবুকে ঘোরাফেরা করছি। পাশে সহধর্মিনী নাসিকা গর্জনে ঘুমাচ্ছেন। ঘুমন্ত অবস্থায় আমার মিসেস-কে যে এত সুন্দরী লাগে তা আগে কখনো দেখিনি। তার মুখে কোন ক্লান্তি নেই, কোন অবসাদের ছাপ নেই, নেই কোন অভিমানের অব্যক্ত বেদনা। তার একখানা হাত আমার বুকের উপরে আর বাম পদখানি আমার পায়ের উপর তুলে আমাকে আলিঙ্গিন করে শায়িত।
অর্ধাঙ্গিনী শিক্ষিত, কিন্তু আধুনিক আদব কায়দায় অনভ্যস্ত। আমি বা আমার ছেলে মেয়েরা যেভাবে মোবাইল পাগল, সে ঠিক ততটাই মোবাইল বিমুখ। মাঝে মাঝে সে আমার মোবাইলকে ঈর্ষা করে। তাকে সতীন মনে করে। সে যাতে মোবাইল প্রেমে পড়ে, তাই রাতে শোয়ার সময় ইউটিউব থেকে গান, সিনেমা দেখাই। কখনো সিনেমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত জেগে থাকে। আবার কখনো ঘুমিয়ে পড়ে। আজ যেমন আমাকে আলিঙ্গন করে ছবি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েছে বলে আমি ফেসবুকের বিভিন্ন পাড়ায় ঘুরছি।
আমি যখন এইসব নিয়ে ভাবছি, তখন দেখি মেসেঞ্জারে একটি মেসেজ এলো। আমি মেসেজ খুলে দেখি সুলেখা নামে এক ফেসবুকের বান্ধবী আমাকে একখানি গান পাঠিয়েছে। তখন প্রায় বারোটা দশ হবে। এত রাতে মেসেজ!! আমি গানটা শুনলাম। রবি ঠাকুরের গান। “ভালোবেসে সখি নিভৃতে যতনে আমার নামটি লেখ তোমার মনের মন্দিরে”।এটি আমার অত্যন্ত প্রিয় গান। আমার গানটি শোনার প্রায় শেষে আবার ও প্রান্ত থেকে মেসেজ এলো-গানটি আপনার কেমন লাগে?
-রবি ঠাকুরের গানকে খারাপ বলার সাহস কারুর থাকে?
-ঠিক বলেছেন। উনার গানকে খারাপ বলার সাহস কারুর নেই। কি করে যে গানের কথাগুলি উনি আনতেন, তাই ভেবে আজ অবাক হই।
-সেই জন্য তো উনি রবীন্দ্রনাথ। উনি পৃথিবীর কবি।
-এত রাত অবধি আপনি ঘুমাননি কেন? ও প্রান্ত থেকে কৌতুহলী জিজ্ঞাসা ভেসে আসে।
-এ তো আচ্ছা জ্বালাতন! নিজে মেসেজ করে এখন আমাকে কাউন্টার করছে!! কিন্তু আমিও দমবার পাত্র নই।আমিও পাল্টা দিলাম- আপনি বা জেগে কেন? কেনই বা আপনি আমাকে প্রথমে মেসেজ করলেন।
রাগ করবেন না প্লিজ। আসলে আমি খুব মানসিক যন্ত্রনায় আছি। সেই যন্ত্রনা আমাকে এত রাত অবধি রাতে ঘুমাতে দেয় না। কখন ঘুমাবো তাও জানি না। এমনটা যে আজ হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। আজ কয়েক বছর ধরে এমনটা হচ্ছে। আমার মত আপনিও সমস্যায় পড়ে জেগে আছেন কিনা তাই জানতে চাইছি।
আমি বুঝতে পারলাম, সুলেখাদেবী ঠিক বলছেন। মানসিক যন্ত্রনায় স্থান বা কাল ভেদ ভুলে গেছেন। এরকম হতেই পারে। তাই আমি মনঃক্ষুন্ন না হয়ে বললাম-না আমার এমন কোন সমস্যা নেই। আমি খুব সুখী মানুষ। আমার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে সুখেই আছি। তবে যেহেতু আমি পেশায় চাকুরীজীবী আর নেশায় লেখক, তাই মাঝে মাঝে ফেসবুকে ঘুরে বেড়াতে তো হবেই। আর দিনের বেলা বিভিন্ন কাজে নিজে ব্যস্ত থাকি। লেখার জন্য রাতকে তাই বেছে নিতে হয়। অগত্যা বাধ্য হয়ে রাত জাগতে হয়।
-ওপাশ থেকে দীর্ঘশ্বাস ভেসে এলো। বললেন-আপনার লেখা বেশ ভালো। তবে বড্ড বেশী বড়। কিন্তু যত বড়ই হোক, আপনার লেখা বেরুলে আমি না পড়ে থাকতে পারি না। আপনার প্রত্যেকটি গল্প সাহিত্য গুন সম্পন্ন এবং বেশ উঁচু মানের লেখা। তবে আমার মনে হয় যাদের একটু পড়া শোনা কম, তাদের পক্ষে আপনার গল্পের রসোদ্ধার করা একটু কঠিন।
-আমি আর কথা বাড়ালাম না। বললাম-আপনার কথাগুলো আমার গল্পের কমেন্ট বক্সে দেবেন। তাহলে আমার অনেক উপকার হবে। যাক আজ অনেক রাত হয়েছে। এখন ঘুমাতে যাবো। গুড বাই। এই বলে আমি মেসেঞ্জার থেকে বেরিয়ে এলাম।
-একটু পরে টুং করে আওয়াজ হল। বুঝলাম মেসেঞ্জারে আবার মেসেজ ঢুকেছে। খুলে দেখি, সুলেখাদেবী আবার মেসেজ পাঠিয়েছে এবং পরের দিন কথা যাতে হয় তার জন্য অনুরোধ করেছে।
আমি আর ফোন খুলে রাখলাম না। ফোনের সুইচ অফ করে শুয়ে পড়লাম।
পরের দিন আমি আবার ফেসবুক পাড়ায় যেতেই সুলেখাদেবী মেসেজ পাঠালেন-কেমন আছেন?
-ভালো। “আপনি কেমন আছেন”?- আমি জিজ্ঞাসা করলাম।
- আজ ভালো আছি। আচ্ছা আমি কিছু ব্যক্তিগত প্রশ্ন করতে পারি কি?-সুলেখাদেবী জিজ্ঞসা করলেন।
-আমি একটু ভেবে উত্তর দিলাম-করুন।
-আপনার ছেলে মেয়ে ক’জন?
-আমার একটি ছেলে আর তিনটি মেয়ে।
-আপনি কি করেন, মানে আপনার পেশা কি?
-এখানে আমি একটু মিথ্যা কথা বললাম। বললাম-কিছু না। একটু লেখা-ঝোকা করি।আর নিজস্ব কিছু কৃষি জমি আছে। তাতেই আমাদের বেশ চলে যায়।
-আমার আর কিছু জিজ্ঞাসা করার নেই। এবার আমারটা শুনুন। আমি একটি গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকা। আমার একটি ছেলে আর একটি মেয়ে।ছেলে কলেজে পড়ে আর মেয়ে সবে ক্লাস এইটে পড়ে।
-বললাম- বাহ্, বেশ সুখী পরিবার তো। তাহলে আপনার দুঃখটা কোথায়?
-দুঃখের কি সীমা আছে? এ দুঃখ আমার জীবনে ঘুচবে না।
-আমি গল্পের প্লট অনুসন্ধানের স্পৃহায়, আর একটু খোঁচা দিয়ে বললাম-যদি অসুবিধা না থাকে, তাহলে আমার সঙ্গে আপনার দুঃখটা শেয়ার করতে পারেন।
-শেয়ার করতে আপত্তি নাই। কিন্তু আপনার কি শুনতে ভালো লাগবে?
-একবার তো বলে দেখুন। আমি আপনার কথা শুনবো। আমার কোন অসুবিধা হবে না। উনি প্রায় সারারাত ধরে উনার কথা শোনালেন। আমার একটুও খারাপ লাগে নি।বরং প্রবল আগ্রহ নিয়ে উনার দুঃখের কথগুলি শুনলাম। সত্যি অত্যন্ত কঠোর মনের মহিলা বলে এখনো পাগল হন নি। আমরা হলে তো কবেই সুইসাইট করতাম।
ভোরের দিকে আমি আর না ঘুমিয়ে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে গেলাম। তারপর অফিসের জরুরী কাজ থাকার জন্য তাড়াতাড়ি চান করে অফিস বেরিয়ে পড়লাম।
পরের দিন আবার রাত বারটার সময় সুলেখাদেবী অনলাইনে এলেন। এসেই প্রশ্ন করলেন-একটি কথা জিজ্ঞাসা করব কি?
-আমি সহাস্যে বললাম-নিশ্চয়ই। কি জানতে চান বলুন।
-আচ্ছা মিথ্যা কথা বলাটা আপনার অভ্যাস, না আপনি ইচ্ছে করে মিথ্যা বলেছেন?
-আমি সাধারণত মিথ্যা বলি না। তবে বিশেষ প্রয়োজন পড়লে মিথ্যা বলতে বাধ্য হই। কিন্তু আমি আপনাকে কি মিথ্যা বলেছি বলুন তো?
-ভেবে দেখুন দেখি আপনি কোনো মিথ্যা বলেছেন কিনা?
-আমি বুঝতে পারলাম যে মহিলা আমার মিথ্যা ঠিক ধরে ফেলেছেন। বললাম- কি করব বলুন। এটা চিটিং এর যুগ। কে কখন কাকে কিভাবে বিপদে ফেলবে তা কে বলতে পারে। তাই বাধ্য হয়ে আমি আমার আসল পেশার কথা চেপে গেছি।
-ও প্রান্ত থেকে মিষ্টি হাসির ঢেউ ভেসে এলো। মানে হাসির ইমোজী আসতে থাকলো। আমিও ইমোজী পাঠিয়ে দিলাম।
-একটি কথা আপনাকে বলব? - ও প্রান্ত থেকে প্রশ্ন এলো?
-বলুন। আপনার সব কথা তো শুনছি। এটাও বা বাদ থাকে কেন?
-আমি না আপনাকে ভালো বাসতে শুরু করেছি। কি করব বলুন তো?
-আমি এই কথার জন্য একেবারে প্রস্তুত ছিলাম না। আমি উনাকে বললাম-দেখুন আপনি ভুল করছেন। আপনি তো জানেন যে আমি বিবাহিত এবং আমার চারটি সন্তান আছে। এরপর আপনার ভালোবাসা আমি রাখব কোথায় এবং প্রতিদানে আমার দেবারও কিছু নেই। আপনি ভুল মানুষকে চয়েস করেছেন।
-আপনি এ রকম বলবেন না প্লিজ। আমি অনেক আশা নিয়ে আমার মনের কথা জানালাম। দয়া করে আমাকে প্রত্যাখ্যান করবেন না।
আমি আর কথা না বাড়িয়ে অফ লাইন হয়ে গেলাম।
পরের দিন সকালে উঠে প্রথমে গিন্নিকে দেখলাম। বেচারি সবে বিছানা থেকে নামছে। নেমেই প্রতিদিনের মতোই আমাকে প্রনাম করে গৃহ কাজে বেরিয়ে যাচ্ছে। ওর মুখের দিকে তাকাতে পারছিলাম না। নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছিল। কেন যে এত আগ্রহ দেখাতে গেলাম!! সঙ্গে সঙ্গে অন লাইন হয়ে সুলেখদেবীকে ব্লক করে দিলাম। তারপরে কিছুটা স্বস্তি পেয়ে প্রাত্যহিক কাজে বেরিয়ে পড়লাম।
সুলেখাদেবী বুঝতে পেরেছেন যে আমি তাকে ব্লক করে দিয়েছি। তাই তিনি আমার দেওয়া পোষ্টগুলিতে ব্যক্তিগত কমেন্ট করতে শুরু করলেন। আমি বাধ্য হয়ে আবার উনাকে আন-ব্লক করলাম। “ হাই!” বলে একটি মেসেজও পাঠিয়ে দিলাম। সঙ্গে সঙ্গে উত্তর এলো-কেমন আছেন? সঙ্গে কান্নার একটি ইমোজী। বললাম - ভালো আছি।
-তা তো থাকবেই। তোমরা সব পুরুষেরা একই রকম। মেয়েদের না কাঁদালে তোমাদের শান্তি মেলে না।
-এ তো আচ্ছা জ্বালাতনে পড়া গেল! সুলেখাদেবী আমাকে প্রেমিক ভেবে অর্থাৎ তার প্রেম প্রস্তাব স্বীকার করেছি ভেবে তার যত অভিমান আমার উপর উগরে দিচ্ছেন। আমি নিজেকে প্রস্তুত করলাম। ভাবলাম -দেখি, সুলেখাদেবী কতদুর এগোতে পারেন। তাই বললাম-আমি আবার আপনাকে কাঁদালাম কি করে?
-আমার ভালোবাসা গ্রহন করলেন না কেন?
-দেখুন সুলেখাদেবী, আমরা বড় হয়েছি। ভালো মন্দ বুঝতে শিখেছি।আমার আপনার মধ্যে ভালোবাসা অবৈধ। তাই আমাদের মধ্যে ভালোবাসা অসম্ভব।
- আচ্ছা, ভালোবাসা মানে আপনি কি বোঝেন?
- বললাম খুব কঠিন প্রশ্ন করেছেন। এর উত্তর বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন রকম। কেউ ভাবে “ভালোবাসা” মানে মন দেওয়া নেওয়া। আবার কেউ ভাবে “ভালোবাসা” মন ও শরীর দেওয়া নেওয়া। আবার কেউ ভাবে “ ভালোবাসা” মানে দু”টি মনের বোঝাপড়া। কেউ বা ভাবে…….
-থাক আর বলতে হবে না। আপনি “ভালোবাসা” মানে কি বোঝেন?
-”মন দেওয়া নেওয়া”।
-শরীরকে বাদ দিলেন কেন?
-”ভালোবাসায়” শরীর গুরুত্বহীন, তাই বাদ দিয়েছি।
-আপনার সঙ্গে আমি একমত। ভালোবাসায় সত্যি শরীরের কোন গুরুত্ব নেই। সেই জন্য আপনাকে আমার চাই। আমি একজন মনের মানুষ চাই। এই পৃথিবীর রূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাই। আমার শরীরের পবিত্রতা বাঁচিয়ে যে আমাকে ভালোবাসা দেবে এমন পুরুষকে আমি কাছে পেতে চাই। আমার মনে হয় সেটা আপনার কাছ থেকে পেতে পারি।
-ও বলির পাঁঠা হিসাবে আমাকে বাছলেন? কেন আপনার স্বামী কি অপরাধ করেছে? তাকে বাদ দিয়ে আমায় বা বাছলেন কেন?
-ও আমার “স্বামী”। আমার প্রভু। আমি তার অধিকৃত সম্পদ। তার কাছে এই সম্পদের “মন” বলে কোন কিছু নেই। আমি তার কাছে কেবলমাত্র অর্থ রোজগার, সন্তান উৎপাদন এবং যৌন ক্ষুধা নিবারনের উৎস মাত্র। এই রকম মানুষকে ভালোবাসা বোঝাতে যাওয়া নারীর নারীত্বে অপমান জনক। আর যদি সব অপমান হজম করে “ভালোবাসা” বোঝাতে যাই তাহলে কপালে জুটবে অসহ্য প্রহার আর নির্জাতন। তাই ও আমাকে যেমন ভাবে ব্যবহার করে করুক। কিন্তু আমি আমার মতো করে একজনকে চাই যে আমাকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসবে।
-আমি যে আপনার সেই মানুষ, সেটা আপনি বুঝলেন কি করে?
- আপনার প্রত্যেকটি লেখা আমি পড়ি। লেখকরা যতই বাস্তব কাহিনী নিয়ে লিখুক, তার লেখাতে নিজের মনের ছবিটি লেখাতে প্রতিফলিত হয়। ফলে আপনার লেখাতে নারীর প্রতি সম্মান আর মমত্ববোধের প্রকাশ ঘটেছে। তাই আমার আপনাকে খুব পছন্দ।
আমি কিছুক্ষন চুপ করে রইলাম।তারপরে একটু চিন্তা করে বললাম- আচ্ছা, ঠিক আছে আমি আপনার প্রস্তাব মেনে নিলাম। তবে প্রেমিক হিসাবে নয়, প্রকৃত বন্ধু হিসাবে আমাকে আপনার পাশে পাবেন। আপনি চাইলে আমি আপনার সঙ্গে সময় কাটাতে পারি। সেটা হবে খুব কম সময়ের জন্য। কিন্তু আপনার ব্যবহার আমার পছন্দ না হলে সম্পর্কে ছেদ পড়বে। বলুন এসব সর্তে রাজি কিনা।
-ওপাশ থেকে কান্নার ইমোজী এলো। তারপর ইংরেজী টেস্কট মেসেজ এলো- “done”।
এই ঘটনার পর প্রায় মাস খানিক কেটে গেল। সুলেখাদেবীর কোন খবর পেলাম না। আমি মাঝে মাঝে তার খোঁজ নেবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ও প্রান্ত থেকে কোন উত্তর আসে নি।
তারপর একদিন অফিসে বসে মোবাইলে শেয়ার বাজার দেখছি, এমন সময় সুলেখাদেবী মেসেজ পাঠালেন-হাই!
-কি খবর!!!! এতদিন আপনার কোন খবর নেই কেন?
-আজ্ঞে আমি সুলেখাদেবী নই। আমি উনার মেয়ে।
আমি বেশ বিপদে পড়ে গেলাম। মায়ের প্রেমিকের নাগাল পেয়ে গেল মেয়েটা!
-জেঠু ভালো আছেন? মেয়েটি জিজ্ঞাসা করল।
- হ্যা মা, ভালো আছি। তুমি কেমন আছো মা?
-আমরা ভালো নেই জেঠু। মা হঠাৎ মারা গেলেন। আমরা ভাই বোনে অনাথ হলাম।
আমি বিস্মিত হলাম। সহসা কিছু বলতে পারলাম না। খানিক পরে বললাম- কি হয়েছিল মায়ের?
-একদিন রাতে বাবা মাকে খুব মেরেছিল। তাতেই স্ট্রোক হয়ে মা মারা গেছেন। এবার মায়ের “শেষ শয্যার” ছবি পাঠালো মেয়েটি। তারপর বললো- জেঠু, এখন রাখি। পরে কথা বলবো।
(এই কাহিনী সম্পুর্ন কাল্পনিক। বাস্তবে এর কোন অস্তীত্ব নেই। যদি গল্পের চরিত্রের সঙ্গে বাস্তবে কোন মিল ঘটে যায়, তাহলে সেটি নিহাতই কাকতালীয়)
কপিরাইট@তারাপদ মাঝি
০৭ ই ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
২০ ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ খ্রীষ্টাব্দ
দেবনগর।

কোন মন্তব্য নেই

গল্প বা কবিতা কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না

Blogger দ্বারা পরিচালিত.